আবির দত্ত, কলকাতা: শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে (Raju Jha Murder Update) ব্যবহৃত গাড়ির প্রথম মালিকের হদিশ পেল এবিপি আনন্দ। শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তীর মায়ের নামে। '২০১৭-য় গাড়িটি কিনেছিলাম, ২০২২-এ বিক্রি করে দিই। একটি সংস্থার মাধ্যমে গাড়িটি বিক্রি করেছিলাম, কিন্তু এখনও নাম ট্রান্সফার হয়নি। ২০২২-এ গাড়িটি একটি সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি করলেও এখনও ১০ হাজার টাকা পাই। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানাব।' এবিপি আনন্দে জানালেন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তী।
গাড়ির প্রথম মালিক কে?
শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির প্রথম মালিকের হদিশ পেল এবিপি আনন্দ। শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তীর মায়ের নামে রয়েছে। সোহম চক্রবর্তী বলেন, '২০১৭-য় গাড়িটি কিনেছিলাম, ২০২২-এ বিক্রি করে দিই। একটি সংস্থার মাধ্যমে গাড়িটি বিক্রি করেছিলাম, কিন্তু এখনও নাম ট্রান্সফার হয়নি।' সোহম জানান, সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল নাম ট্রান্সফার না হওয়ার পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে না। সেই নাম বদলে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি, দাবি সোহমের। সেই কারণেই এখনও ১০ হাজার টাকা তিনি পাননি। ওই সংস্থার সঙ্গে দাম সংক্রান্ত আলোচনা এবং আরও যাবতীয় কথা মেলের মাধ্য়মে হয়েছে। সেই যাবতীয় তথ্য এবং টাকার লেনদেনের নথি তাঁর কাছে রয়েছে। পুলিশ চাইলে যাবতীয় তথ্য তিনি দিতে পারবেন, জানিয়েছেন পাটুলির বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তী। সোহমের আরও দাবি, যে সংস্থাকে তিনি গাড়ি বিক্রি করেছিলেন, তাদের সঙ্গে ডিল হয়েছে, অন্য কেউ গাড়ি কিনলে তাঁর নামে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। তাঁর আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে গাড়ি থাকবে। অন্য কাউকে গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি সোহমের। গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে খুন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। ওই শ্যুটআউটের সময় ঘটনাস্থলেই ছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির খাতায় পলাতক গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত শেখ আব্দুল লতিফ। যে গাড়িতে খুন হয়েছে, সেই গাড়িটি শেখ আব্দুল লতিফের। যে ফরচুনার গাড়ির মধ্যে খুন, সেই গাড়ির পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে লতিফ, এমনই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাস্থলেই আব্দুল লতিফ উপস্থিত থাকলেও কেন কেউ জানল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ দাবি করেছিল তিনজন ছিল, গাড়ির চালক, কয়লা মাফিয়া ও রাজুর সঙ্গী ব্রতীন। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল লতিফ। ঘটনাস্থলেই গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত লতিফ ছিল, জানতেই পারল না পুলিশ, উঠছে এমন প্রশ্ন।