কলকাতা: বাবরি মসজিদ নিয়ে দশকের পর দশক অশান্তি চলেছে উত্তরপ্রদেশে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজীনতিতেও বাবরি মসজিদ বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। দল তাঁকে সাসপেন্ড করলেও, বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে পিছু হটতে নারাজ হুমায়ুন। সেই আবহেই এবার উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য হুঙ্কার  দিলেন। জানালেন, বাবরের নামে যেখানেই মসজিদ তৈরি হোক না কেন, পরিণতি ভিন্ন হবে না। (Babri Masjid)

Continues below advertisement

মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। সেই আবহেই রবিবার হুঙ্কার দিলেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব। তিনি বলেন, “এমনি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বিদেশি আক্রমণকারী বাবরের নাম না থাকলেই হল।  কিন্তু বাবরের নামে মসজিদ তৈরি করলে, শুধুমাত্র বিরোধিতাই করব না, দ্রুত যাতে সেটিকে নির্মূল করে দেওয়া যায়, তার দেখে ছাড়ব।” শুধু তাই নয়, কেশব আরও বলেন, “মুসলিম তুষ্টিকরণের নোংরা রাজনীতি চলছে। তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক এটা।” (Keshav Prasad Maurya)

মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন। সেই নিয়ে একদিন আগেও হুঁশিয়ারি দেন কেশব। তাঁর বক্তব্য ছিল, “সব তৃণমূলের নাটক। বাবরের নামে একটি ইঁটও যদি গাঁথা হয়…ওখানে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে। প্রত্যেকটি ইঁট খুলে ফেলে দেওয়া হবে।”

তবে শুধু হুমায়ুনই শুধু মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ গড়ছেন না। তেহরিক মুসলিম শাব্বানের সভাপতি মহসিন মুস্তাক মালিক সাহাবও হায়দরাবাদে বাবরি মসজিদের স্মারক নির্মাণের ঘোষণা করেছেন। ৬ ডিসেম্বর, উত্তরপ্রদেশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই মুস্তাক বলেন, “দেখলাম মুর্শিদাবাদের মুসলিমরা কাঁধে ইঁট নিয়ে ২০০ কিলোমিটার হেঁটে মসজিদ নির্মাণে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৯ সাল থেকে বাবরি মসজিদের স্মৃতিতে মসজিদ নির্মাণের ভাবনা রয়েছে আমার মাথায়। ওপরওয়ালার সম্মতি থাকলে হবেই।” আগামী বছর ডিসেম্বর নাগাদই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান মুস্তাক।