কলকাতা: প্রোমোটারের অফিসে বসে নিয়োগ দুর্নীতির লেনদেন? ওএমআর, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা, অ্য়াডমিট কার্ডের পর এবার টাকার লেনদেনের নথি! ইডি সূত্রে দাবি অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে মিলেছে টাকার লেনদেনের হিসেব। এখনও পর্যন্ত ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেনর হিসেবে মিলেছে। শান্তনু-ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের অফিসের কম্পিউটারে, কাগজের টুকরোয় মিলল লেনদেনের তথ্য। উদ্ধার ওএমআর শিট: ফের বিপুল সংখ্যক ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে । সূত্রের খবর, সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে ইডি। শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি। অয়নকে নিয়ে সল্টলেকের অফিসে রাতভর তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে মেলা নথির ভিত্তিতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রের দাবি, 'রাতভর তল্লাশিতে মিলেছে বহু চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ও নথি। মিলেছে চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডও। এসএসসি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর সল্টলেকে প্রোমোটারের অফিসে লুকিয়ে রাখা হয় নথি, অনুমান গোয়েন্দাদের।
নথি তথ্য ঘেঁটে উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা: শান্তনুর বিভিন্ন ডেরায় গতকালের দিনভর তল্লাশি ও অয়ন শীল-সহ ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ১০টিরও বেশি বেনামী সম্পত্তির হদিশ, ৭টি কম্পিউটার থেকে উদ্ধার বিভিন্ন জায়গায় মোটা টাকা বিনিয়োগের নথি, হুগলিতেই ৪০টি নির্মাণ কাজ করেছেন শান্তনু, দাবি ইডির। এইসব বিনিয়োগের পিছনে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা? নথি তথ্য ঘেঁটে উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দের বয়ান ও জিজ্ঞাসাবাদ।
২৪ ঘণ্টা পার, শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের অফিসে ইডির তল্লাশি জারি। শিক্ষায় নিয়োগ ছাড়া পুরসভাতেও কি বেআইনি নিয়োগ চক্র শান্তনুদের? 'শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার তথ্য। কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগের তথ্য। কোন পদে কার চাকরি, সেই তথ্য ও তালিকা রয়েছে একই ফোল্ডারে। একটি ফাইলে ১৫০ পাতার তথ্য মিলেছে। রাজ্যজুড়ে পুরসভাতেও কি বেআইনি নিয়োগের চক্র শান্তনুদের? প্রোমোটার অয়ন শীলের এই অফিসই ছিল বেআইনি নিয়োগের কন্ট্রোল রুম। হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার নথি দেখে প্রশ্ন ইডির
বাংলো, ধাবা, রিসর্ট, বিলাসবহূল ফ্ল্যাট থেকে কোম্পানি যতদিন যাচ্ছে, ততই যেন নিযোগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্রাজ্যের নতুন নতুন হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। তেমনি সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়া তথ্য। শনিবার দিনভর বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার বিভিন্ন ডেরায় তল্লাশি চালান ED অফিসাররা। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে।
কী দাবি ED সূত্রে: তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও বিভিন্ন নথি ঘেঁটে, আরও ১০ টিরও বেশি বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ৭টি কম্পিউটার থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন শান্তনু। মনকী হুগলিতেই 40টি নির্মাণ কাজ করেছেন অয়ন। সূত্রের দাবি, সেখানেও আসলে বিনিয়োগ করেছেন শান্তনু। এখানেই শেষ নয়, অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউস রয়েছে। যার মাধ্যমে, সিনেমা বানাতেও শান্তনু টাকা ঢেলেছিলেন বলে ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। এর ফলে এখন যে প্রশ্নটি জোরাল হয়ে উঠেছে, তা হল পরোক্ষভাবে কি বিভিন্ন নির্মাণ কাজ ও সিনেমায় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কাজে লাগিয়েছিলেন শান্তনু? ওই ভাবেই কি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে শান্তনুর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
পিস্তল ধরিয়ে, আমার যে দাম, সেই টাকা আমাকে দেওয়া হয়নি এবং আমার কাছ থেকে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল! ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এরকম ২-৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, যাঁরা শান্তনুর বিরুদ্ধে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, সেই সমস্ত সম্পত্তি সম্পর্কে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে নথিপত্র চেয়েছে ED. এদিকে শনিবার বলাগড়ের চাঁদরায় শান্তনের যে গেস্ট হাউজে তালা ভেঙে ঢুকেছিলেন ED আধিকারিকরা, এদিন সেখানকার অন্দরমহলে ধরা পড়ল অন্য ছবি। বাড়িটি ED সিল না করলেও, রবিবার সেখানেই দেখা গেল নতুন তালা ঝুলছে।