রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়:  পুজো মিটতেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ( TMC ) অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ( South 24 Pargana )  ভাঙড়ে । দলের অঞ্চল কমিটির সদস্য-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সরাসরি অন্তর্ঘাতের মতো মারাত্মক অভিযোগ তুললেন আরাবুল ইসলাম ( Arabul Islam ) । ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে আরাবুল ইসলামের সেই বক্তব্য। 'আমাদের লোকেরা ISF-কে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তাঁদের এখন থেকে চিহ্নিত করতে হবে। আমি দাদাকে বলব, আপনি নিজে বসুন।'


ভাঙড়ে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় বিধানসভার বিজয়গঞ্জ বাজারে দলীয় কার্য্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে দলীয় কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মিসভা থেকে দলীয় এক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। পাশাপাশি দলীয় কিছু নেতা-কর্মী দলেরই ক্ষতি করছে বলে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন আরাবুল। 


শানপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন আরাবুল ইসলাম ।  বলেন , কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। নাম করে শানপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য শরিফুল আলমকে বলেন, 'আমাদের কোনও মিটিং হলে তুমি সদস্যদের আসতে নিষেধ করছ। দল তোমাকে এই নির্দেশ দেয়নি যে তুমি মিটিংয়ে আসতে সদস্যদের নিষেধ করবে। তোমার ভালো না লাগে তুমি দল করবে না। তবে দল তোমাকে নির্দেশ দেয়নি যে তুমি মিটিংয়ে আসতে নিষেধ করবে সদস্যদের।' 


স্থানীয় সূত্রে দাবি, একসময় আরাবুল ইসলামেরই ঘনিষ্ঠ ছিলেন তৃণমূলের শানপুকুর অঞ্চল কমিটির সদস্য শরিফুল আলম। তবে বর্তমানে তাঁর সঙ্গে খানিকটা দূরত্ব বেড়েছে আরাবুলের। যদিও, আরাবুল ইসলামের তোলা অন্তর্ঘাত বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।  তবে এ বিষয়ে  শরিফুল আলম বলেন , একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, 'কিছু কিছু মেম্বারের ক্ষোভ ছিল। তাঁরা আমার বাড়িতে আসে এবং তাঁরা অভিযোগটা জানায়। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা আমাদের অঞ্চল কমিটি যখন বসবে, তখন সেটা ভুল বোঝাবুঝিটা আর থাকবে না।'              


এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, 'টাকা দিয়ে পদ, প্রার্থীপদ কেনা হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবেই'। আর তৃণমূল  নেতা সওকত মোল্লার বক্তব্য, 'আমাদের ইন্টারনাল মিটিং ছিল। কেউ ভুল করলে বলতেই পারে।'