কোচির কালামাসেরিতে (Kochi Kalamassery blasts) ধর্মীয় সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। বিস্ফোরণের পরই ত্রিশূরের কাদাকারা থানায় গিয়ে নাটকীয় আত্মসমর্পণ করেন ডমিনিক মার্টিন (Dominic Martin)নামে এক ব্যক্তি। তিনিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন ডমিনিক। এরপর ডমিনিককে ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কে এই ডমিনিক? উঠে এসেছে নানারকম তথ্য। কেরল সিরিয়াল ব্লাস্টে এবার মিলছে দুবাই-কানেকশন! তদন্তকারীদের অনুমান, 'দুবাই থেকে কয়েকমাস আগে কেরলে আসেন ধৃত ডমিনিক। দুবাইতে ডমিনিক ১৫ বছর ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করেছেন। কেরলে ফিরে ইংরেজির টিউশন করতেন ডমিনিক। '
ডমিনিকের একার পক্ষে আইইডি জোগাড় করে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব নয়, মনে করছে পুলিশ, নেপথ্যে বড় চক্র, অনুমান তাদের। বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশের ৭০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিস্ফোরণের পর থানায় গিয়ে নাটকীয় ভাবে গতকাল আত্মসমর্পণ করেন ডমিনিক মার্টিন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন ব্যক্তির মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করতে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখছে কেরল পুলিশ।
আত্মসমর্পনের আগে, মার্টিন ফেসবুক লাইভে বলেছিলেন যে তিনি Jehovah’s Witness এর ধর্মীয় সম্মেলনে আক্রমণে দেশবিরোধী আদর্শের কারণে। তিনি দাবি করেন, Jehovah’s Witness দের আন্দোলন বিপথগামী, তিনি তা সংশোধন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ফেসবুক লাইভে আরও বলেন, "আমার নাম মার্টিন। Jehovah’s Witness সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমি বিস্ফোরণের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি। আমি এই ফেসবুক লাইভটি করছি ব্যাখ্যা করার জন্য যে আমি কেন এই কাজটা করলাম।
তিনি আরও বলেন, "তারা যা শেখায় ( Jehovah’s Witness ) আমি তার বিরোধিতা করি। আমি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে বলছি যে সমাজে এই সংগঠনের প্রয়োজন নেই। আমি অবিলম্বে থানায় আত্মসমর্পণ করব।" মার্টিন বলেন, "আমি কীভাবে বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছি সে তথ্য নিউজ চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত নয়। এই তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো বিপজ্জনক হতে পারে।"
ভিডিওতে মার্টিন আরও বলেন, 'ছয় বছর আগে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই সংগঠনটি ভুল ছিল এবং এর শিক্ষাগুলি দেশবিরোধী।'
এই নিয়ে কালামাসেরি বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩, জখম ৫২। বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আজ সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে ২০ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন :