রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ISF কর্মীদের হাত-পা গুঁড়ো করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন! এবার ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি! ফের বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম!

  ISF এর বিরুদ্ধে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। চড়া সুরে বললেন, পুলিশ না থাকলে ISF কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না ।  হুঙ্কার দিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা। 


' ISF কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না'


রবিবার ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মিসভা করেন আরাবুল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তিনি বলেন, ' পুলিশ যদি না থাকলে নৌশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে ঢুকতে পারত না। ISF কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না। ' 


কী প্রতিক্রিয়া নৌশাদের?


'প্রোটেকশন তো নিজের বডিগার্ড থাকলে হবে। আমার আছে দেখেছেন? আরাবুল সাহেবকে বলুন, অন ক্যামেরা বলছি, আমি শুনেছি নাকি সুগারের একটু প্রবলেম আছে, ভালভাবে ট্রিটমেন্ট করতে বলুন।  শরীর যাতে ভাল থাকে। কারণ যা তোলাবাজি, অকর্ম যা করেছে, তার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বুঝে নেওয়া হবে। তখন শরীর যাতে সুস্থ থাকে, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।', কটাক্ষ আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির।


পূর্বেও কুকথার তোড় 

এর আগেও নৌশাদ সিদ্দিকি ও আইএসএফ-কে বেলাগাম আক্রমণ করেন আরাবুল ইসলাম। নৌশাদকে রাস্তায় ফেলে মার ও আইএসএফ কর্মীদের পালিশ করা হবে হুমকি দেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খারাপ ভাষা ব্যবহার করলে হাত-পা গুঁড়ো করে দেওয়া হবে বলে দাওয়াই দেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা। 


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙড়ে, ISF-এর কাছে হেরে যায় তৃণমূল। এরপর থেকেই দুই দলের মধ্যে লাগাতার সংঘাত চলছে ভাঙড়ে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কুকথার স্রোত চলছেই! তৃণমূল-আইএসএফ বাগযুদ্ধে ক্রমশই তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়ের মাটি।         


কিছুদিন আগে সন্ধেয় চালতাবেড়িয়ার তৃণমূল কর্মী সরিফুল মোল্লার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে! বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, ভেঙে পড়ে বাড়ির সামনের অংশের দেওয়াল! উড়ে যায় অ্য়াসবেস্টাসের চালের একাংশ। 
বিস্ফোরণে আহত হন তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রোশেনারা বিবি। এই ঘটনায় নৌশাদ সিদ্দিকির দলকে দায়ী করে সুর চড়ায় তৃণমূল!