ইম্ফল: অমিত শাহর (Amit Shah Tour) সফরের আগে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর (Manipur)। ইম্ফলে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু (2 Died)। আহত নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান-সহ ১২ জন। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় হামলার অভিযোগ। একাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। হামলা চালানো হয়েছে বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে। ভাঙচুর করে আগুন ধরানো হয়েছে গাড়িতে। কিছুদিন আগেই মণিপুরে হিংসায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়। আজ অশান্ত মণিপুরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।


অশান্তি চলছেই...
সপ্তাহখানেক আগেই ইম্ফলের পরিস্থিতি সামলাতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সে সময়ও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর মিলেছিল। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছিল সেনা। বস্তুত, মাসখানেক ধরেই তপ্ত মণিপুর। অশান্তি থামাতে নামানো হয়েছিল সেনা, আধাসেনা, পুলিশ। এখনও পরিস্থিতি থমথমে মণিপুরে। তার মধ্যেই রাজ্যে বেড়েছে মৃত্য়ুসংখ্যা। তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী। মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতায় ৩ মে মিছিলের আয়োজন করেছিল কুকি জনগোষ্ঠী।- তখন থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। ওই হিংসায় সপ্তাহখানেক এখনও পর্যন্ত ৭০৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। বহু টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বহু বাসিন্দাকে নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে সরকারের শিবিরে গিয়ে উঠতে হয়েছে। 


কী কারণে এমন ক্ষোভ:
মণিপুরের বাসিন্দাদের বড় অংশই মেইতেই জনগোষ্ঠীর। তাঁরা মূলত ইম্ফল ও লাগোয়া সমতল এলাকায় বাস করেন। পাহাড়ি এলাকায় থকেন কুকিরা। মেইতেইরা জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারেন না। কিন্তু কুকিরা সমতল এলাকায় জমি কিনতে পারেন। এবার মেইতেই জনগোষ্ঠী তফসিলি জনজাতিভুক্ত হয়ে গেলে তাঁরাও পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারবেন, সেটাই কুকিদের অসন্তোষের কারণ। কুকিদের দাবি, এন বীরেন সিংহের সরকার তাঁদের ক্রমশ কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। শুধু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতা নয়। আরও একটি কারণে চড়েছে ক্ষোভের পারদ। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় কুকি জনগোষ্ঠীদের বাস। সেই পাহাড়ি এলাকায় সংরক্ষিত অরণ্য থেকে কুকি জনগোষ্ঠীভুক্ত বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই চড়েছে ক্ষোভের পারদ। একাধিকবার বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিংসায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গেই দেখা করেছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন:আর্থ্রারাইটিসের তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রোজের মেনুতে রাখতে পারেন এই ফলগুলি, পাবেন উপকার