অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজোর মেনুতে বিরিয়ানি (Biriyani) মাস্ট। কিন্তু তাতে ব্যবহৃত রং কি স্বাস্থ্যসম্মত? তারই খোঁজে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের (Atin Ghosh) নেতৃত্বে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ফুটপাথের দোকানে হানা দিল খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা। বিরিয়ানিতে (Biriyani) সিন্থেটিক রং (Synthetic dyes) ব্যবহার নিয়ে খাবার বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেন ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor)। পাশাপাশি তাঁদের নোটিসও পাঠাচ্ছে পুরসভা।


পুজোর আগে খাবারে নজরদারিতে পুরসভা: পুজোয় প্যান্ডেল হপিং তো হবেই। পাশাপাশি মন ভরে পেটপুজোও মাস্ট। তা সে বড় কোনও রেস্তোরাঁই হোক বা স্ট্রিটফুডের দোকানে। কিন্তু, আপনি যা খাচ্ছেন, তা স্বাস্থ্যসম্মত তো? তা খতিয়ে দেখতেই পুজোর আগে নজরদারিতে নামল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor of Kolkata Municipal Corporation) এবং ফুড সেফটি (Food safety) বিভাগের আধিকারিক এবং কর্মীরা। নিউমার্কেট (New Market) চত্বরে একাধিক বিরিয়ানির দোকানে হানা দেন তাঁরা। খতিয়ে দেখেন বিরিয়ানির মান। বিরিয়ানিতে সিন্থেটিক রং ব্যবহার করা নিয়ে ক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র। পুরসভার কর্মীরা, যাঁরা এই বিষয়টির দিকে নজর রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদেরও ধমক দেন তিনি।


সতর্ক করলেন ডেপুটি মেয়র: কলকাতা পুরসভার (kolkata municipal corporation) ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয় এই রং, বিরিয়ানির জন্য নয় এই রং, জাফরান ব্যবহার করা যেতে পারে। পুরসভার কর্মীদের দেখা উচিত ছিল। তাদের গাফিলতি আছে।’’ বিরিয়ানির রং ব্যবহারের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক রেস্তোরাঁকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেন ডেপুটি মেয়র। ডেপুটি মেয়রের পরামর্শ, “ক্রেতাদের উচিত জিজ্ঞাসা করা, কীভাবে বিরিয়ানিতে এই রং হচ্ছে। তাঁরা জিজ্ঞাসা করে খান।’’


রেস্তোরাঁর পাশাপাশি পথের ধারে অন্যান্য খাবার ও খাদ্য সামগ্রীর দোকানও ঘুরে দেখেন ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor)। একটি দোকানে হলুদের গুঁড়োর প্যাকেট দেখে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। কলকাতার ফুটপাথে কাটা ফল বিক্রি হয় দেদার। পরিদর্শনে বেরিয়ে নিউমার্কেট চত্বরে এমনই এক ফল বিক্রেতাকে ডেকে সতর্ক করে দেন অতীন। তিনি বলেন, “আগে প্লাস্টিক ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে খুলে রাখা যাবে না। আর লোক এলে কেটে দাও।


আরও পড়ুন: Murshidabad News: টোপ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ, চাকরি না পেয়ে 'আত্মঘাতী' যুবক