কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে এবার বিস্ফোরক অর্জুন সিংহ। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে সরিয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কনভয়ে IED হামলা হতে পারে অথবা রাসায়নিক স্প্রে করে শুভেন্দুকে হত্যা করা হতে পারে বলেও দাবি অর্জুনের। শুভেন্দুর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কার মধ্যেই এই দাবি করলেন তিনি। (Arjun Singh)
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করে জঙ্গিরা ভারতে নাশকতার ছক কষছে বলে যখন ইঙ্গিত মিলেছে, সেই আবহেই শুভেন্দুর উপর হামলা হতে পারে বলে এসেছে সতর্কতা। সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন। তাঁর বক্তব্য, "আমি রাজনীতি করার জন্য কোনও কথা বলি না। আমি যা যা বলেছি, তা প্রমাণিত হয়েছে, হয়ত পাঁচ-১০ দিন পরে হয়েছে।" (Suvendu Adhikari)
অর্জুনের বক্তব্য, "শুভেন্দু অধিকারী মেন টার্গেট। উনি Z প্লাস সিকিওরিটি পান। কিন্তু রাস্তায় যাচ্ছেন যখন, হঠাৎ যদি বড় গাড়িতে IED নিয়ে ঢুকে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়? কেন্দ্রীয় সংস্থা কী করবে? IED বিস্ফোরণ হতে পারে। রাসায়নিক স্প্রে করা হতে পারে। জনসমাবেশে স্প্রে করা হতে পারে ওঁকে লক্ষ্য করে।"
সাংবাদিক সেজে কেউ শুভেন্দুর উপর হামলা করতে পারে বলেও অভিযোগ অর্জুনের। তাঁর কথায়, "এখন দুনিয়ার নতুন পোর্টাল হয়েছে। ভুয়ো বুম বানিয়ে ওঁর কাছে পৌঁছে যেতে পারে কেউ, ওঁর উপর হামলা করতে পারে। রাজ্যের সংস্থার উপর ভরসা নেই। ওঁর নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়াতে হবে, যেখানে যেখানে যান, সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে খুন করাতে পারলে মমতার পোয়া বারো হয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শত্রুকে নাশ করতে সমস্ত রকম... জিহাদি সংগঠনের সঙ্গে উনি হাত মিলিয়ে নিয়েছেন, এর প্রমাণ আছে।"
শুভেন্দুর উপর হামলা হতে পারে বলে এর আগেও দাবি করেন অর্জুন। গত ২৮ নভেম্বর তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বিরোধী দলনেতাকে মারার চেষ্টা করছে। নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে কোনও না কোনও দিন গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দেবে, অঘটন ঘটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।" এদিন ফের সেই দাবি করেছেন অর্জুন। যদিও এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কারও উপর হামলা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলা হবে না আমার উপর হবে, তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানেন। আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।"