পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: খাস কলকাতায় (Kolkata) অটোর মধ্যে বিপুল পরিমাণ বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার। হরিদেবপুরে ৪১ পল্লি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অটোর মধ্যে মিলল ১৯টি তাজা বোমা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি। গতকাল রাতে দীর্ঘক্ষণ অটো দাঁড় করানো আছে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানার পুলিশ গিয়ে অটোর মধ্যে একটি ব্যাগ থেকে তাজা বোমা ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে। এত অস্ত্র কোথা থেকে এল, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতায় অস্ত্র উদ্ধার: শহরের বুকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়, একটাই প্রশ্ন বারবার উঠছে, এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে? সবাই মুড়ি-মুড়কির মতো অস্ত্র পাচ্ছে কোথা থেকে? কাদের মদতে অস্ত্রের কারবার চলছে? নেপথ্যে কারা? অস্ত্র কি ভিনরাজ্য থেকে আমদানি করা হচ্ছে? না কি রাজ্যের মধ্যেই সক্রিয় অস্ত্র তৈরির কারখানা? গতকাল গভীর রাতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ খবর পায়, ঢাকা অবস্থায় একটি অটো দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাতভর ওই অটো ঘিরে রেখে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর অটোর মধ্যে একটি ব্যাগ থেকে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯টি তাজা বোমা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, একটি অটো দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। যা ঢাকা অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অটোর নম্বরকে কাজে লাগিয়ে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির আন্ধারিয়া গ্রামে অভিযান চালায় বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং কুলতলি থানার পুলিশ। গ্রামেরই একটি বাড়িতে মেলে অস্ত্র কারখানা। পুলিশের দাবি, বাড়ির বারান্দায় একেবারে প্রকাশ্যেই চলছিল অস্ত্র তৈরির কাজ। বাড়ি মালিক ও বেআইনি অস্ত্র পাচারচক্রের পান্ডা মহিউদ্দিন সর্দারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, ৮ পিস ওয়ান শর্টার, তিনটি লং ব্যারেল অর্থাত্ দো’নলা বন্দুক। ২টো খালি এবং একটি ভর্তি কার্তুজ, প্রচুর অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল।