ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ফের অস্ত্র (arms) উদ্ধার (recovery)  শহরে। লেদার কমপ্লেক্স থানা (leather complex) এলাকা থেকে এক অস্ত্র কারবারি (arms trader গ্রেফতার (arrest) হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ (police)। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েই ধরা পড়ে সে। ধৃত কোনও চক্রে জড়িত কি না, কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। 


কী জানা গেল?
সূত্রে খবর, গত কাল রাতে এক কারবারি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছিল বলে খবর পায় পুলিশ। তার পরই সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু হয় লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায়। হঠাতই দেখা যায়, এক ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে পুলিশের। তার কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এতেই শেষ নয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, তিন জনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে এসেছিল এই ব্যক্তি। কিন্তু ওই তিন জন পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় বলে খবর। আপাতত ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র আনা হচ্ছিল, কত টাকার অস্ত্র হচ্ছিল, কোথায় যাচ্ছিল, কে পাঠিয়েছিল ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর চান তদন্তকারীরা। দিনসাতেক আগেই শহরে আরও এক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। 


হালেই এক ঘটনা...
নভেম্বরের গোড়াতেই খাস কলকাতার এপিসি রোড থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ঘটনায় গ্রেফতার হন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা জয় চৌধুরী। উদ্ধার হয় ৩টি অটোম্যাটিক পিস্তল ও ১টি দেশি পিস্তল। মেলে জাল নোট ও প্রচুর গুলি। তার আগেও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বারবার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার পাওয়া যায়। সেটাও উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতের ভেড়ি ও মাটির কারবার রয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য সুকুর আলির। যদিও এর পিছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। উদ্ধার হয়েছিল ১টি লং রাইফেল, ২টি ওয়ান শটার, ১টি ৭এমএম পিস্তল, টুয়েলভ বোরের পিস্তল ১টি, ৪০ রাউন্ড গুলি, সাড়ে ৮ কেজি বোমা তৈরির মশলা। ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়দের একাংশ। এই ঘটনার কদিন আগেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মিষ্টির দোকানের আড়ালে অস্ত্রের কারবারের হদিশ মেলে। হুগলির ডানকুনি হাউসিং মোড়ে অভিযান চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। সেখানে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার হয়েছিলেন ২ জন। এছাড়াও,  কাঁকিনাড়ায় বিস্ফোরণ থেকে নরেন্দ্রপুরে নাবালকদের লক্ষ্য করে বোমা, নৈহাটির শিবদাসপুরে গুলি-বোমাবাজির মতো একাধিক ঘটনা হয়ে চলেছে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য়ই এভাবে অস্ত্র মজুত হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। চলছে রাজনৈতিক তরজা।  


আরও পড়ুন:আমার হাত কামড়াতেও পাঠিয়েছিলেন, আমি সুযোগ দিইনি, বললেন শুভেন্দু