কলকাতা : প্রবল বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে সিকিমের নদীগুলি। নদী এখন প্রবল খরস্রোতা। সেখানেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। চাকরি জীবনে যোগ দেওয়ার মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই নিভে গেল জীবনদীপ। দেশের জন্য লড়াই করার স্বপ্নটা কেড়ে নিল পাহাড়ি নদীর ভয়ঙ্কর টান। সিকিমে এক সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন ২৩ বছরের তরতাজা যুবক। 

সহকর্মীকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ                        

সিকিমে কর্মরত ছিলেন ভারতীয় সেনাকর্মী।  তিনি এক সহকর্মীকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অবশেষে প্রবল স্রোত তাকেই ভাসিয়ে নিয়ে যায়।  সিকিম স্কাউটসের লেফটেন্যান্ট  শশাঙ্ক তিওয়ারি গত বছরের ডিসেম্বরেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এদিন সেনা ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে রুট ওপেনিং পেট্রোলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন শশাঙ্ক। সেই সময় কাঠের সেতু পার হতে গিয়ে পা পিছলে খরস্রোতা নদীতে পড়ে যান তাঁর টিমের অগ্নিবীর স্টিফেন সুব্বা। দুবার ভাবেননি শশাঙ্ক।  জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে।

উদ্ধার করা যায় অগ্নিবীরকে.... কিন্তু 

অগ্নিবীর স্টিফেন সুব্বা ততক্ষণে সেতু থেকে পড়ে গিয়ে পাহাড়ি ঝর্ণার তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। অগ্নিবীরকে বাঁচাতে জলে লাফ দেন আরেক সেনাকর্মীও।  নায়েক পুকার কাটেল নামে আরও এক জওয়ান এগিয়ে আসেন। নদীর জলের তোড়ে অনেকটা ভেসে গেলেও শেষমেষ অগ্নিবীর সুব্বাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তবে শশাঙ্ককে বাঁচানো যায়নি। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮০০ মিটার দূরে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই  সেনা অফিসারের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।

সেনার বার্তা                  

শশাঙ্কের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা ও বোন। শশাঙ্কের এই কাজে গর্বিত সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে শশাঙ্ককে কুর্নিশ জানানো হয়েছে।  সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী একজন সাহসী ও নেতার মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি এই  অল্প বয়স এবং স্বল্প সময়ের চাকরি সত্ত্বেও সাহস ও সৌহার্দ্যের এক নজির গড়েছেন,  তাঁর এই কাজ পরবর্তী প্রজন্মের সৈন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।