সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা বলে পরিচিত কসবার ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের এক ডিরেক্টরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের নথি অনুযায়ী, অর্পিতার সঙ্গে এই সংস্থার ডিরেক্টর কল্যাণ ধর, যিনি আবার অর্পিতারই জামাইবাবু। যদিও কল্যাণ ধরের দাবি, তিনি এ’বিষয়ে কিছুই জানেন না।


আরও কত লুকনো রয়েছে?
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির পর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার প্রায় ২৮ কোটি টাকা! তুল্যমূল্য লড়াইয়ে টাকা উদ্ধারের নিরিখে দক্ষিণের টালিগঞ্জকে পেছনে ফেলে দিল উত্তরের বেলঘরিয়া। তবে অনেকেই বলছেন, এ তো হিমশৈলর চূড়া মাত্র। আর তাই প্রশ্ন, নগদ ৫০ কোটি উদ্ধার হওয়ার পরও আরও কত লুকনো রয়েছে?


অর্পিতার জামাইবাবু তাঁরই ড্রাইভার 
পরতে পরতে রয়েছে আরও কত রহস্য? তেমনই এক রহস্য তৈরি হয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা বলে পরিচিত কসবায় ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টরকে ঘিরে। কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের নথি বলছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই সংস্থার ডিরেক্টর কল্যাণ ধর। আর এখানেই চমক! যিনি না কি এক কোম্পানির ডিরেক্টর । সেই কল্যাণ ধর আদতে গাড়ি চালান! সম্পর্কে অর্পিতার জামাইবাবু!


সারদা কাণ্ডের সঙ্গে কী মিল 
ঠিক যেমনটা দেখা যেত চিটফাণ্ডের সময়! ২০১৩’র এপ্রিলে, সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন, মনোজ কুমার নাগেল।  তখন তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি একজন সাধারণ কর্মচারী৷ তাঁকে অধিকর্তা বানিয়ে ফাঁসানো হয়েছে৷ ঠিক যেমনটা এখন বলছেন, অর্পিতার জামাইবাবু!!


বেলঘরিয়ার আবাসনের রেজিস্টার বলছে অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার তিনদিন আগে, তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন কল্যাণ। কেন ? যদিও তাঁর দাবি,' হতে পারে, কারণ আমার স্ত্রী'র বড় পিসি মারা গেছিলেন, শ্রাদ্ধের দিন বলল তুমিও চলো। ওর গাড়ি করে গেছিলাম। প্যাকেট বলতে মিষ্টি-ধূপকাঠি নিয়ে গেছিলাম। ' 


আবাসনের রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে, ৩০ মে, অর্পিতার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপসের এক কর্মী। কাকে খাবার দিয়েছিলেন তিনি ? 


ED সূত্রে খবর, অর্পিতার জামাইবাবুর খোঁজ করা হচ্ছে। পার্সেলে কী ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে।