রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী (gold trader)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের (baruipur) ঘটনা। আজকের গ্রেফতারির (arrest) পর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কিন্তু কীসের জেরে গ্রেফতারি?


কী ঘটেছিল?


গত মার্চে বারুইপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তার তদন্তে নেমেই চিরঞ্জিৎ সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে বারুইপুর সাউথ গড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানারপুলিশ। এর পর চলে জেরা। সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। পুলিশের দাবি, ধৃত চিরঞ্জিৎ দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে সোনা ও রুপোর গয়না বিক্রি করত। বিদ্যুৎ মাইতি এবং জয়ন্ত মণ্ডল নামে ওই দুজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেই গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। 


কী জানা গেল?


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিদ্যুৎ মাইতির সুভাষগ্রামে বন্দনা জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকান রয়েছে। জয়ন্ত মণ্ডল নামে ধৃত দ্বিতীয় জনও চম্পাহাটিতে জয়জিৎ জুয়েলার্স নামে একটি দোকানের মালিক। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই দুজন চোরাই মাল কিনছিলেন। দুজনের দোকান থেকে ৪৪ টি সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) ইন্দ্রজিৎবসু। গয়নাগুলির মধ্যে একুশটি কানের দুল, সাতটা আংটি এবং ষোলোটি সোনার নাকছাবি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তা ছাড়াও রুপোর আট জোড়া বালা উদ্ধার হয়েছে। তালিকায় রয়েছে আটটি  গলার হারও যার আনুমানিক বাজারমূল্য দুই লক্ষ টাকা। নগদ ২৮ হাজার টাকাও পাওয়া গিয়েছে দুজনের দোকান থেকে, দাবি পুলিশের। 


আগেও চুরি...


গত মার্চে খোদ কলকাতা পুলিশের এক কর্তার বাড়িতে চুরি হলে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিকের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবাশিস ঘোষের বারুইপুরের বাড়িতে একের পর এক তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ উঠেছিল সে বার। শুধু তাই নয়। শোনা যায়, বাড়ির সামনের মন্দির থেকেও গয়না চুরি গিয়েছে। বাড়ি থেকে নগদ টাকা চুরিরও অভিযোগ ওঠে। তার পর আজকের গ্রেফতারি। সব মিলিয়ে দ্রুত তৎপর প্রশাসন।


আরও পড়ুন:'দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দিতে হবে' সাংবাদিক পরিচয়ে তৃণমূল বিধায়কদের হুমকির অভিযোগ