জগদ্দল: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে (TMC) ফিরলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ (Arjun Singh)। এ বার  তার মধ্যেই গা থেকে গেরুয়া (BJP) রং ঝেড়ে ফেলার পর্ব শুরু করে দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যখন বৈঠক করছেন অর্জুন, সেই সময়ই জগদ্দলে তাঁর বাড়ির চারপাশ থেকে খুলে ফেলা হল বিজেপি-র যাবতীয় পতাকা, পোস্টার, ব্যানার। শুধু তাই নয়, এলাকায় বিজেপি-র কার্যালয় থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দলের পতাকা, পোস্টার, ব্যানার, দেওয়ালে আটকানো স্টিকার পর্যন্ত। আর এ সব কিছুই ঘটল অর্জুন ক্যামাক স্ট্রিটে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই। 


'বিজেপি-মুক্ত' অর্জুনের বাড়ি


রবিবার বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ তাজ বেঙ্গল হোটেল থেকে বেরিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটের উদ্দেশে রওনা দেন অর্জুন। তার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে যোগ দেন। আর তার পরই তাঁর জগদ্দলের বাড়িটিকে 'বিজেপি-মুক্ত' করার কাজ শুরু হয়। বাড়ির বারান্দা, প্রাচীর সবের উপর থেকে খুলে নেওয়া হয় বিজেপি-র পতাকা। তার বদলে লাগানো হয় তৃণমূলের পতাকা। বাড়ির চারপাশে নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডার সঙ্গে অর্জুনের যে সমস্ত ব্যানার, পোস্টার ছিল, খুলে ফেলা হয় তা-ও। 


এমনকি এলাকায় বিজেপি-র কার্যালয় থেকেও খুলে ফেলা হয় পদ্ম-প্রতীক। দেওয়ালে সেঁটে রাখা পদ্ম-প্রতীক, স্টিকার তুলে ফেলার কাজ শুরু হয়। পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন খুলে জড়ো করা হয় এক দিকে। আর তার পরই অর্জুনের বাড়িতে লাগানো হয় জোড়াফুল পতাকা। যেখানে যেখানে বিজেপি-র পতাকা ঝুলছিল, সেই সব জায়গা মুড়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকায়। এর পর নিজের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারটিও পাল্টে ফেলেন অর্জুন। জানা যায়, সমন্বয় বৈঠকের পর্ব চুকিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অর্জুন। 


আরও পড়ুন: Arjun Singh Joins TMC: গেরুয়া অধ্যায়ে ইতি, বিজেপি-তে ৩৮ মাস কাটিয়ে তৃণমূলে 'ঘরওয়াপসি' অর্জুনের


তৃণমূলে যোগদানের পর ক্যামাক স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক বৈঠকও করেন অর্জুন। জানান, ভুল বোঝাবুঝির জেরেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘরের ছেলে আবারও ঘরে ফিরে এসেছেন। রাজ্য বিজেপির নেতাদের রাজনীতি শুধুমাত্র ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপেই সীমাবন্ধ বলেও মন্তব্য করেন অর্জুন।


মমতার নেতৃত্বে লড়াইয়ের বার্তা


একই সঙ্গে অর্জুন জানান, আগামী দিনে মমতার নেতৃত্বে সর্বভারতীয় স্তরে বড় লড়াই হতে চলেছে। তাতে সৈনিকের ভূমিকায় থাকবেন তিনি। মমতার সঙ্গে এখনও সাক্ষাৎ হয়নি, তবে দলনেত্রীর ডাক পেলই দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।