কলকাতা: অ্যাডিনো (Adenoviruses) আতঙ্কের মধ্যে বেড়েই চলেছে পর পর শিশুমৃত্যুর ঘটনা। তার মধ্যেই কাঠগড়ায় কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতাল (BC Roy Hospital)। সেখানে চরম অব্যবস্থা চলছে বলে অভিযোগ অসুস্থ শিশুর পরিবার-পরিজনদের। প্রায় ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় শিশুকে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে এল। আবার আইসিইউ না থাকায় বন্ডে সই করিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সবমিলিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ (Kolkata News)।


চরম অব্যবস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিশুর পরিবার-পরিজনদের


অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। একের পর এক হাসপাতালে একের পর এক শিশুর মৃত্যু ঘটছে। সেই আবহে ফের একবার কাঠগড়ায় বিসি রায় শিশু হাসপাতাল। সেখানে চরম অব্যবস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার-পরিজনদের। হাওড়ার শ্যামপুরের একটি পরিবারের অভিযোগ, ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল তাদের চার বছরের শিশু।


ওই পরিবারের দাবি, প্রথমে আইসিইউ নেই বলে বন্ডে সই করিয়ে নেওয়া হয় তাদের। এর পর তার পর বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় শিশুটিকে। তাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তবেই আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। পরিবারের প্রশ্ন, আইসিইউ যদি খালিই ছিল, তাহলে কেন প্রথমে ফেলে রাখা হল? কেনই বা সই করানো হল বন্ডে? 


আরও পড়ুন: Adenoviruses: আরও তিন শিশুর মৃত্যু, দু’মাসে ১২৯ খুদের প্রাণ গেল, বিসি রায়ে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ


শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে থার্মোমিটারও কিনে আনতে বলা হয় তাদের। বিসি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার। যদিও এই প্রথম নয়। গত কয়েক দিনে শিশুমৃত্যু যত বেড়েছে, ততই বিসি রায় শিশু হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। 


বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দু'মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর


অ্যাডিনোভাইরাসকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেই আবহে ফের তিন শিশুর মৃত্যু হল।এর মধ্যে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্য শিশুটি মারা যায় শুক্রবার সকালে। শিশু দু'টির মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ার। শিশু দু'টি অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কিনা, এখনও তা জানা যায়নি। কারণ অ্যাডিনো রিপোর্ট আসেনি এখনও পর্যন্ত। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু'মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর।