আসানসোল : আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ২৪১ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপর বুথের বাইরে জড়ো হওয়া লোকজনকে ধাওয়া করেন বিজেপি প্রার্থী।
পুলিশকে তিনি প্রশ্ন করেন, আমার পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, আপনি সেটা দেখছেন না ? টিএমসি-র চামচা। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূলের লোক দাঁড়িয়ে আছে। পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ টিএমসি-র ক্যাডার হয়ে কাজ করছে। চটি চাটা পুলিশ। ওরা টিএমসি-র ক্যাডার।
এদিকে ভোট দিতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে ঢোকার অভিযোগ ওঠে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে কেন বুথে? প্রশ্ন তুলে কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন ; "ওঁর হাঁপানি রয়েছে", একজনের হয়ে আরেকজনের ভোট দেওয়ার অভিযোগ আসানসোলে
এদিকে বারাবনির আন্দিহায় ২৮৩/২৪৩ নম্বর বুথে একজনের হয়ে আরেকজনের ভোট দেওয়ার বড় অভিযোগ উঠল। যদিও ক্যামেরার সামনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্যক্তি। দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভোটার চেষ্টা করার ফাঁকেই ইভিএমের দিকে বাঁ হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় দ্বিতীয় ব্যক্তিকে। ক্যামেরার সামনে অবশ্য অন্যের হয়ে ভোট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ঘটনার কথা স্বীকার করেননি প্রিসাইডিং অফিসারও। বারাবনিতে অন্যের হয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়ার পর প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
আজ আসানসোলে ১২১ ও বালিগঞ্জে ১৭, সব মিলিয়ে দুটি কেন্দ্রে মোতায়েন ১৩৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর। ৫১ শতাংশ অর্থাৎ, দেড় হাজার বুথে থাকবে ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা। আসানসোলে মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা, বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, সিপিএমের পার্থ মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডির মধ্যে।