আসানসোল : ভোটের শুরু থেকেই আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল। কোথাও বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, তো কোথাও বুথে পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আটকে রাখল পুলিশ। আর তা নিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল উপনির্বাচনে।  


আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ঝাঁঝরায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে আটক রাখল পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সৌভিক আনোয়ারের নেতৃত্বে বিজেপি নেতার গাড়ি আটকানো হয়। জিতেন্দ্র এই কেন্দ্রের ভোটার নন, কনভয় নিয়ে তাঁর ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কমিশনের, এমনই দাবি পুলিশের। 


যদিও কনভয় নয়, তাঁর সঙ্গে মাত্র ২ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন বলে দাবি জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপি নেতাকে যেতে দেওয়া উচিত ছিল বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লাউদোহার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। 


এদিকে বারাবনির ১৭৫ নম্বর বুথে ধুন্ধুমার বাধে। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাথরবৃষ্টির পাশাপাশি গাড়িতে লাঠির বাড়িও মারা হয়। রক্তাক্ত অগ্নিমিত্রা পালের নিরাপত্তারক্ষী। এদিন ওই বুথে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার না থাকার অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিজেপি প্রার্থীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের হামলা, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অগ্নিমিত্রার সঙ্গে যিনি এসেছেন তিনি গুন্ডা।


বারাবনিতে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের পরেই সংবাদ মাধ্যমকে আটকায় পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় মিডিয়ার গাড়ি।প্রথমে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, জেলাশাসকের নির্দেশ রয়েছে তাই সাংবাদিকদের বাধা। তবে লিখিত নয়, মৌখিকভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রায় আধঘণ্টা পর সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কেন আটকানো হল, উত্তর এড়াল পুলিশ। মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই কাজ করছে পুলিশ, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। নির্বাচনের সময় পুলিশ কমিশনের অধীনে, প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের। এই ঘটনায় সংবামাধ্যমকে ফ্রি মুভমেন্ট করতে দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের। কোনও ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা ঘটেছে। এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। জানাল কমিশন।