আবীর দত্ত, আসানসোল: বারাবনিতে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের পরেই সংবাদ মাধ্যমকে আটকাল পুলিশ (Police), যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আটকে দেওয়া হয় মিডিয়ার (Media) গাড়ি। প্রথমে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, জেলাশাসকের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু কোনও লিখিত বিবৃতি দেখাতে পারেননি কোনও পুলিশ অফিসার। যদিও আধঘণ্টা পর সংবাদমাধ্যমকে যেতে দেওয়া হয়।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানান হয়েছে সাংবাদিকরা 'ফ্রি মুভমেন্ট' করতে পারবেন। তাঁদেরকে কোথাও আটকানো যাবে না। এমনকী সাংবাদিকদের আটকানো এমন কোনও রকম নির্দেশ জানান হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে। কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপর এমন ঘটলে তা আরও খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মমতার নির্দেশই সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা।
আরও পড়ুন, কোথাও কোনও রিগিং হয়নি, জানাল নির্বাচন কমিশন
এদিন সকাল থেকেই বারাবনির ১৭৫ নম্বর বুথে ধুন্ধুমার। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাথরবৃষ্টির পাশাপাশি গাড়িতে লাঠির বাড়িও মারা হয়। রক্তাক্ত হন অগ্নিমিত্রা পালের নিরাপত্তারক্ষী। এদিন ওই বুথে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার না থাকার অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিজেপি প্রার্থীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের হামলা, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। ভোট দিতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে ঢোকার অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে কেন বুথে? প্রশ্ন তুলে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের।
এছাড়াও, বারাবনির আন্দিহায় ২৮৩/২৪৩ নম্বর বুথে একজনের হয়ে আরেকজনের ভোট দেওয়ার অভিযোগ। দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভোটার চেষ্টা করার ফাঁকেই ইভিএমের দিকে বাঁ হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় দ্বিতীয় ব্যক্তিকে। ক্যামেরার সামনে অবশ্য অন্যের হয়ে ভোট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ঘটনার কথা স্বীকার করেননি প্রিসাইডিং অফিসারও। বারাবনিতে অন্যের হয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়ার পর প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।