কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান): আসানসোলের জামুড়িয়া থানার 60 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বেসরকারি লৌহ আকরিক কারখানায় আগুন। মাল ওঠানামা করার সময় আচমকা আগুন লাগে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। প্রতিদিনই এখানে একই ভাবে মাল ওঠানামার কাজ হয়ে থাকে। তাহলে কীভাবে আগুন লাগল হঠাৎ করে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


এর আগে, গতকাল সকালে কলকাতা হরিশ মুখার্জি রোডে চলন্ত গাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল। জ্বলন্ত গাড়ি দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাশের গাড়িতে আগুন লেগে যায়। অফিসটাইমে দুটি গাড়িতে আগুন লাগায় ব্যস্ত রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


উত্তরের দিকে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই হরিশ মুখার্জি রোডে, মাঝরাস্তায় আগুন লেগে যায় চলন্ত গাড়িতে। জ্বলন্ত অবস্থাতেই চলছিল সেই গাড়িটি। জ্বলন্ত অবস্থায় একটি গাড়ি দেখে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। এরপর গাড়িটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই মারাত্মক ছিল যে তার পাশে দাঁড়ানো গাড়িতেও সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। 


আচমকা এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হলেও এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন এবং গাড়িগুলিতে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকল। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, বুধবার সকাল ৯টা ২০ নাগাদ হঠাৎই ওই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জল ঢালতে শুরু করেন। তাঁদের প্রাথমিকভাবে অনুমান গাড়ির ভিতর ব্যাটারি থেকে কোনওভাবে শর্টসার্কিট থেকেই এমন আচমকা আগুন লেগেছে। ওই ব্যক্তি জানান, 'আমাদের পাড়ার আরও অনেকগুলি গাড়ি ছিল। তার মধ্যে একটা গাড়ি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জল দেওয়ার সঙ্গে পুলিশ ও দমকলকে ফোন করা হয়। তাঁরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।' প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে না হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে এলাকার একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।