কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহিরাগত বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে (Asansol Lok Sabha By Election) উপনির্বাচনের আগেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। আর সেই প্রশ্ন মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এবং অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Paul)। ভোটের সময় ছাড়া আসানসোলে অগ্নিমিত্রাকে দেখা যায় না, তাই তিনিই বহিরাগত বলে মন্তব্য করেন সায়নী। পাল্টা সায়নীর জন্মের শংসাপত্র দেখতে চান অগ্নিমিত্রা।
আসানসোলে প্রচার ঘিরে তুঙ্গে তরজা
আগামী ১২ এপ্রিল নির্বাচন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপি পরিত্যাগী শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর তাতেই বহিরাগত তত্ত্ব বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে জোড়াফুল শিবিরের উপর। শত্রুঘ্ন বহিরাগত, আসানসোলের মানুষ ওঁকে মেনে নেবেন না বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। অঘ্নিমিত্রাও সেই সুরে গলা মিলিয়েছেন। তৃণমূল যদিও এ সব কানে তুলছে না মোটেই। কিন্তু জবাব দিতে ছাড়েননি সায়নী।
সম্প্রতি আসানসোলে শত্রুঘ্নর হয়ে প্রচার করেন সায়নী। রানিগঞ্জ এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলের জন্য ভোটপ্রার্থনা করেন তিনি। সেখানেই বিজেপি-র কটাক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জানানো হয় জবাবে সায়নী বলেন, “আসানসোল দক্ষিণের মানুষ তো বলছেন, উনি বহিরাগত। কারণ বিধানসভার বাইরে, থানার বাইরে ধর্না দিতেই দেথা যায় শুধু। আসানসোলের কোনও বিপদে দেখা যায় না। তাঁই ওঁর মুখ এ সব কথা মানায় না।”
পরস্পরকে তীব্র কটাক্ষ সায়নী-অগ্নিমিত্রার
সায়নীকে এর জবাব দিতে ছাড়েননি অগ্নিমিত্রাও। সায়নীকে কটাক্ষ করে বলেন, “ওঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে, উনি যেন এখানকার মানুষ। নিজের জন্মের শংসাপত্র দেখান দেখি! এখান থেকে টিকিট তো পেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওঁকে কৈফেয়ত দেওয়ার কোনও ইচ্ছেই নেই আমার।”
বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোলে সায়নীকে পরাজিত করেন অগ্নিমিত্রা। বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে চলে আসার পর তাঁর ছেড়ে দেওয়া ওই লোকসভা আসনে ফের অগ্নিমিত্রাকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর বিজেপি ত্যাগী শত্রুঘ্নকে নামিয়েছে তৃণমূল। সেই নিয়েই দুই দলের মধ্যে তরজা চরমে উঠেছে।