কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল : রেলের জমিতে অনুমোদনহীন স্কুল চালানোর অভিযোগ। বুলডোজার এনে আসানসোলে বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, যে বাড়ি ভাঙা হয় সেখানে চলছিল স্কুল। যদিও রেলের দাবি, স্কুল নয় ভাঙা হয় কোয়ার্টার। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।


দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী, শাহিনবাগে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে সম্প্রতি উত্তাল হয়েছিল রাজধানীর রাজনীতি। বুলডোজারের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয়রা। এবার তারই ছায়া বাংলায়। আসানসোলের ডুরান্ড কলোনিতে রেলের জমিতে বাড়ি ভাঙা নিয়ে বাধল বিতর্ক। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি। প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে দাবি, যে বাড়িটি ভাঙা হয়, সেখানে ৪০ বছর ধরে চলছিল একটি স্কুল। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন পড়ুয়া পড়াশোনা করত। 


আরও পড়ুন ; অধিগ্রহণের ভাবনা, কোচবিহারে ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন রাজ্য সরকারের নিযুক্ত বিশেষ দলের


বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙার প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল। আসানসোলে ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পাল্টা এনিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। আসানসোল উত্তর (১) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর বুলডোজার চালানো হল। মানে বাচ্চাদের উপর আক্রমণ করতে মোদি ছাড়ছে না। আরও এসব স্কুল যাতে ফের চালু করা যায় তা ডিআরএমকে করতে হবে।


রেল সূত্রে দাবি, ওই বাড়িটি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভাঙা হয়েছে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক সুবলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, স্কুল নয়, কোয়ার্টার ছিল, এত খারাপ অবস্থায় ছিল যে মেরামতের অবস্থা ছিল না। সেই জন্য রেল প্রশাসন কোয়ার্টার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।


অনুমোদন ছাড়া চালানোর অভিযোগে, ইতিমধ্যে আসানসোলে তিনটি স্কুল বন্ধের নোটিস দিয়েছে রেল। এই প্রেক্ষাপটে রেলের জমিতে নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। এই বিতর্কের জল এখন কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার।