শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : বাম আমলে তৈরি হওয়া একটি ক্যান্সার সেন্টার অধিগ্রহণের ভাবনা তৃণমূল সরকারের। সেন্টারটিকে কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের অধীনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই ক্যান্সার সেন্টারটি পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারের নিযুক্ত বিশেষ দল।


রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার। কম খরচে, ক্যান্সারের চিকিত্‍সার জন্য, বাম আমলে কোচবিহারে তৈরি হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু, বর্তমানে অর্থাভাবে ধুঁকছিল সেটি। এই অবস্থায় সেন্টারটিকে অধিগ্রহণ করার ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সেন্টারটি ঘুরে দেখে রাজ্য সরকারের নিযুক্ত একটি দল। খতিয়ে দেখে পরিকাঠামো। 


১৯৮৯ সালে ২০ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছিল কোচবিহার রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার। উদ্বোধন করেন তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেন্টারটি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও, বেশ খানিকটা আর্থিক সাহায্য করত রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, বছরে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হত সরকারের তরফে। ক্যান্সার সনাক্ত হওয়া থেকে প্রাথমিক চিকিত্‍সা, কেমোথেরাপি... খুব কম খরচেই চিকিত্‍সা হয় এখানে।


তরাই-ডুয়ার্স... দূর দূরান্ত থেকে আসেন রোগীরা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে, আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে সেন্টারটি। রাজ্য সরকারের অনুদানের পরিমাণও কমে যায় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সেন্টার অধিগ্রহণের দাবি ওঠে। সেইমতো, সেন্টারটিকে কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের অধীনে আনার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। MJN মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল রাজীব প্রসাদ বলেন,  টিম পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। চিকিত্‍সকরা রিপোর্ট দিলেই রাজ্য সরকার সিগন্যাল দেবে।


কোচবিহার রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টারের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক দীপক সরকার বলেন, বাম আমলের মন্ত্রী, কমল গুহর প্রচেষ্টাতেই মূলত তৈরি হয় কম খরচে ক্যান্সার চিকিত্‍সার এই প্রতিষ্ঠান। রাজ্য সরকার আগে ২৫ লক্ষ অনুদান দিত। আগের বছর ৭ লক্ষ আসে। ২০১৯-এই অধিগ্রহণের জন্য বলি। রাজ্য সরকার সেই ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছে।


রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণের উদ্যোগে খুশি কোচবিহারবাসী। কোচবিহারের বাসিন্দা দেবব্রত চাকি বলেন, ক্যান্সারের সমস্যা আমরা বুঝি। আমার স্ত্রী তাতেই মারা গেছেন।


এখন রাজ্য সরকারের পরিদর্শক দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে এই ক্যান্সার সেন্টারের ভবিষ্যত্‍।