সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে আশা কর্মীদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আশা কর্মীদের। 


স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম: বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। দিতে হবে সরকারি স্বীকৃতি। আর এই দাবিতে সরব আশা কর্মীরা। এদিন স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নামেন তাঁরা। তাতেই পুলিশের সঙ্গে একেবারে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বচসা শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক আশাকর্মী। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা সরকারি স্বীকৃতি চাই।  স্থায়ীকরণ করতে হবে। মাধ্যমিকের ডিউটি থেকে সার্ভে, বিনা পারিশ্রমিকে একের পর এক কাজ করাচ্ছে। আমাদের দাবি বিনা পারিশ্রমিকে কোনও কাজ করানো যাবে না। স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দিতে হবে। নির্দিষ্ট কাজ এবং কাজের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে।’’


বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে ধর্না: এদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান ১২ দিনে পড়ল। কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছেন ৩৫ শতাংশ।  গত বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন। গত শনিবার দুপুর ১টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন। বকেয়া DA-র দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।                                       
.
এই পরিস্থিতিতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। রবিবার, বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান ১০ দিনে পড়ল।এদিনও, শহিদ মিনার চত্বরে ছবিটা ছিল একইরকম। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। মুখে মুখে স্লোগান। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, “কাল ও পরশু ভাবার সময় তারপর আমরা বুধবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা। ১৩ তারিখ জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে কর্মবিরতি।’’ রবিবার, আন্দোলনমঞ্চে আসেন এপিডিআরের সদস্য, মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিত শূর। দুপুরে ১টা নাগাদ ফলের রস খেয়ে প্রতীকী অনশন ভঙ্গ করেন যৌথ মঞ্চের ৩২ জন সদস্য।


আরও পড়ুন: Vessel Services Disrupted: সকাল থেকে ঘন কুয়াশার জের, সাগরে ভেসেল পরিষেবা ব্যাহত