সমীরণ পাল, অশোকনগর: ভ্যাকসিন নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অশোকনগরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভ্যাকসিনের পরিবর্তে পুলিশের লাঠিচার্জ খেতে হল জনগণকে। ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অভিযোগ, কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত থাকা সত্ত্বেও পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। অশোকনগর ভ্যাকসিন কাণ্ডে পৌরসভা স্বাস্থ্য আধিকারিক এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।


সেই কারণেই শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল উত্তর ২৪ পরগণা জেলা শাসকের দফতরে। এই বৈঠকে ছিলেন নোডাল অফিসার অহংকার সিং মিনা, স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বানচাল ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। এবার থেকে জেলার সমস্ত ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এবং অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেই সমস্ত খুঁটিনাটি এবার থেকে পর্যবেক্ষণ নজরদারি চালাবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।


বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। তিনি প্রশ্ন করেন, পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক কেন অনলাইনে ভ্যাকসিনেশনের জন্য আবেদন গ্রহণ করেও ভ্যাকসিন দেননি? তাঁর ভূমিকা কী ছিল, এর সমস্ত রিপোর্টটি চেয়ে  পাঠানো হয়। 


ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বিক্ষোভ হয় অশোকনগরে। জানা গেছে, ভ্যাকসিন না পেয়ে অশোকনগরে পথ অবরোধ করেন ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। মাতৃসদনে ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এরপর অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে ক্ষুব্ধ গ্রহীতারা।


বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, কো-উইন অ্যাপে নাম রেজিস্টার থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে তাঁরা এদিন ভ্যাকসিন নিতে আসেন অশোকনগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা সূত্রে জানা যায় যে ২০০ জনকে ফোন করে এদিন ডাকা হয়েছে, শুধুমাত্র তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। 


বৃহস্পতিবার বারাসত থেকে অশোকনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন সেন্টার এসে জানতে কিছু লোক জানতে পারেন ভ্যাকসিন দেওয়ার লিস্টে তাদের নাম নেই। হাসপাতালের তরফে বারাসাত থেকে আসা লোকদের জানানো হয় পরবর্তীতে তাদের ডেকে নেওয়া হবে।