সুনীত হালদার, হাওড়া:  ট্যাঙ্কার মালিকদের ধর্মঘটের জেরে তেল সরবরাহ নিয়ে সঙ্কটের আশঙ্কা। বহু পেট্রোল পাম্পে বন্ধ ইন্ডিয়ন ওয়েলের পেট্রোল ও ডিজেল সরবরাহ।  গতকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নেমেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন।


  ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ইন্ডিয়ান অয়েল তাদের টেন্ডারে পরিবহণ খরচ অনেকটাই কমিয়েছে। এরই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে তারা।  সেই কারণে গতকাল এবং আজ মৌরীগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো থেকে পেট্রোল, ডিজেল নিয়ে কোনও ট্যাঙ্কার বেরোয়নি।  দ্রুত সমস্যা না মিটলে অনেক পেট্রোল পাম্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা।  


বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়ার মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কার মালিকরা পেট্রোল এবং ডিজেলের গাড়িতে তেল তোলেননি ধর্মঘটের কারণে। ফলে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদিয়ার একাংশে তেল সরবরাহ করা যায়নি। 


এদিকে পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাঙ্কারে না তোলার কারণে পেট্রোল পাম্প গুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ আছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল  ডিলয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই কলকাতা এবং হাওড়ার পাম্পগুলিতে তেলের সঞ্চয় ফুরিয়ে যেতে শুরু করবে। বন্যা এবং করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।


ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ষাটটি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহি ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ভাড়াও কমিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন তারা। তাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে। যদিও তারা আশাবাদী  যে, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করবে।


ইতিমধ্যেই জেলার সব পেট্রল পাম্পগুলিতে এদিন থেকেই জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘট না উঠলে খুব শীঘ্রই কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই জ্বালানির তীব্র অভাব দেখা দিতে চলেছে বলে আশঙ্কা। সব থেকে বড় সঙ্কটের মধ্যে পড়তে চলেছে জেলার গণপরিবহণ ব্যবস্থা। বাস-ট্যাক্সি-পুলকার হোক কিংবা বাইক-স্কুটি, বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে। পেট্রোল ও ডিজেলের অভাবে এদের চাকা কার্যত থমকে যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ধর্মঘটের জেরে সরবরাহ না থাকায় বিভিন্ন জেলা ও কলকাতা. পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেলের সংকট দেখা দিতে পারে। যত সময় গড়াবে আস্তে আস্তে অন্যান্য জেলাতেও তা ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।