সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির তল্লাশি যত এগোচ্ছে ততই একাধিক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেই অফিসের ভিতরের ছবি এবার এবিপি আনন্দর হাতে। 


ইডি-র দাবি অনুযায়ী, প্রোমোটারের অফিসের এই ড্রয়ার থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক OMR শিট ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। শুধু তাই নয়, ওই অফিসের দেওয়ালে ঝুলছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের NOC সার্টিফিকেট। বাড়ির মালিকের দাবি, সরকারি ঠিকাদার পরিচয়ে এই অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন অয়ন শীল। 


পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কথায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর দাবি, গত তিনমাসে এই অফিস থেকে প্রচুর কাগজ ফেলা হয়েছে। প্রায়ই ভোরবেলায় এই অফিস থেকে লোকজনকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও দাবি করেন ওই সাফাই কর্মী।                                              


এমন এক তথ্য এবার সামনে এল , যা তুলে দিল বিরাট এক প্রশ্ন। ২০১২-র টেটেও হয়েছে কোনও দুর্নীতি? কেন এই প্রশ্ন ?  শুধু ২০১৪-র নয়, ২০১২-র টেট পরীক্ষার্থীদের নামও মিলেছে অয়ন শীলের অফিসে, দাবি ইডি-র। অয়ন শীলের অফিসে মিলেছে ২০১২-র টেট পরীক্ষার্থীদের নামের তালিকা, খবর ইডি সূত্রে। তবে কি ২০১২-র টেটেও হয়েছে কোনও দুর্নীতি? উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি চক্রে মিলেছে ২০ জন এজেন্টের হদিশ ।                                                           


আরও পড়ুন, 'অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে ফোটোকপি নয়, মিলল প্রচুর আসল OMR শিট' দাবি ED র


এই OMR শিটগুলি কোন পরীক্ষার? সবই পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বলে ইডি-র দাবি। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন দাবি করেন, তাঁর সংস্থা ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডকে OMR শিটের বার কোডিংয়ের বরাত দেওয়া হয়। সেই কারণেই অফিসে রাখা ছিল OMR শিট। ইডি-র দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, এই OMR শিট অয়নের কাছে থাকার কথাই নয়। এর থেকেই স্পষ্ট নিয়োগ-দুর্নীতির জাল কতটা ছড়িয়ে পড়েছিল।