প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ-দুর্নীতির  ( Bengal Recruitment Scam ) জাল কতটা গভীরে জানতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি ( ED ) । তদন্তকারীদের দাবি, প্রোমোটার অয়ন শীলের ( Ayan Sheel ) সল্টলেকের অফিসে ফোটোকপি নয়, প্রচুর আসল OMR শিট মেলে। যা ফাঁকা ছিল।


এই OMR শিটগুলি কোন পরীক্ষার?


এই OMR শিটগুলি কোন পরীক্ষার? সবই পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বলে ইডি-র দাবি। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন দাবি করেন, তাঁর সংস্থা ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডকে OMR শিটের বার কোডিংয়ের বরাত দেওয়া হয়। সেই কারণেই অফিসে রাখা ছিল OMR শিট। ইডি-র দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, এই OMR শিট অয়নের কাছে থাকার কথাই নয়। এর থেকেই স্পষ্ট নিয়োগ-দুর্নীতির জাল কতটা ছড়িয়ে পড়েছিল।  

'অয়ন শীলের অফিস ডেটা মাইন!'


বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিস ডেটা মাইন!  নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বহু ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি ইডির। সূত্রের দাবি, প্রোমোটারের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০০টি এএমআর শিট, ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকা লেনদেনের নথি, ক্যান্ডিডেট লিস্ট, অ্যাডমিট কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি। সল্টলেকে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের এই অফিসই কি নিয়োগ দুর্নীতির কন্ট্রোল রুম? উঠছে প্রশ্ন। 


ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়া নেওয়া অফিসে, শনিবার রাত থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট! সল্টলেকে প্রোমোটার অয়ন শীলের ভাড়া করা অফিস থেকে



  • সাড়ে তিনশো থেকে চারশোটি OMR শিট

  • চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

  • অ্যাডমিট কার্ড

  • ডিজিটাল নথি পেয়েছে ইডি।
    এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেও বেশকিছু OMR শিট উদ্ধার করেছিল ইডি। ৫৫-৬০ কোটি টাকা লেনদেনের হিসেব-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ বিপুল নথি! ইডি সূত্রে এমনই দাবি করার পর প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও কি দুর্নীতি হয়েছে? বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও কি সক্রিয় ছিল বেআইনি চক্র? কথায় বলে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!  বিরোধীরা বলছেন, প্রবাদের সঙ্গে বাস্তব যেন মিলে গেল রবিবার এক দুর্নীতির তদন্তের রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে এবার সামনে এল আরেক দুর্নীতির আভাস!