কলকাতা: ইডির (Enforcement Directorate) তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) মা-বাবা। ইডি সূত্রে খবর, লেনদেনে মা-বাবার অ্য়াকাউন্টও ব্যবহার করেছিলেন প্রোমোটার অয়ন। আগামী শুক্রবার অয়নের স্ত্রী কাকলি শীল ও ছেলে অভিষেক শীলকে তলব করেছে ইডি। তদন্তে উঠে এসেছে, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের কো ডিরেক্টর ছিলেন কাকলি। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর অ্যাকাউন্টেও আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। গত সপ্তাহে বিচারক প্রশ্ন তোলেন, কেন অয়নের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? 


অয়নের স্ত্রী ও ছেলেকেও তরলব: গত সপ্তাহেই ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী, স্ত্রী কাকলি শীল ও ছেলে অভিষেক শীলকে তলব করল ইডি। সূত্রের দাবি, অয়নের আরও ১০টি নতুন অ্য়াকাউন্টের পাশাপাশি, দিল্লিতে একটি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে।  


নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী, অয়নের স্ত্রী কাকলি শীল, ছেলে অভিষেক শীলকে তলব করল ইডি। এর আগে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে ৫ দফায় গিয়েছিল ৫৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও, অয়নের সল্টলেকের অফিসে মেলে শ্বেতাকে দেওয়া গাড়ির মানি রিসিট। হন্ডা সিটি কেনার জন্য অয়ন শ্বেতাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করে ইডি। 


একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ: এর পাশাপাশি ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত প্রোমোটার, অয়ন শীলের একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ মিলেছে। যেখানে যৌথভাবে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলির। অয়নের সংস্থার দ্বিতীয় ডিরেক্টর, তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।


সূত্রের খবর, এইসব বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। মঙ্গলবার ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, দিল্লিতে অয়ন শীলের একটি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। যার দাম ১ কোটি টাকা। অথচ খাতায় কলমে ১০ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছিল। বাকি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে পেমেন্ট করা হয়। এর আগে অয়নের ৪২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছিল। 


ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের আরও ১০টি নতুন অ্য়াকাউন্টের হদিশ মিলেছে। অয়নের ২টি সংস্থার ৮ থেকে ১০ জন কর্মীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০১৫ থেকে নগদ প্রায় ১২ কোটি টাকা জমা পড়েছে এই অ্য়াকাউন্টগুলিতে।