কলকাতা: রাজ্যের ২৫৩ টি বেসরকারি বিএড কলেজের (BEd College) ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিলের জের। কলকাতার (Kolkata) বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি বা বি. এড বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নোটিস। চাপ, হুমকির অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। বেসরকারি অথবা সেল্ফ ফিনান্সড বি.এড বা এম.এড কলেজগুলির সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।  


অনুমোদন বাতিল


 পরিকাঠামোয় দেদার অনিয়মের অভিযোগ, চলতি বছরের জন্য় রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করেছে রাজ্যের শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনিয়ম ধরা পড়েছে কলেজগুলিতে, তাই সিদ্ধান্ত, এমনই জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।


শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য়- রাজনীতি


খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক উঁচু পদে থাকা আধিকারিক। এই প্রেক্ষাপটে এবার, রাজ্য়ের একাধিক বিএড কলেজে উঠল দেদার অনিয়মের অভিযোগ! চলতি বছরের জন্য় ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করেছে রাজ্যের শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিকাঠামোয় দেদার অনিয়ম হয়েছে। যেমন, বেশ কিছু বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের ফায়ার লাইসেন্স সার্টিফিকেট বা অগ্নি নির্বাপক শংসাপত্র আছে। অথচ বাস্তবে তা নেই। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কাছে জাল ফায়ার লাইসেন্সের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে বিএড কলেজগুলি।              


শুধু এই নয়, কর্তৃপক্ষের দাবি, UGC-র বিধি মেনে, ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই নিয়মও অনেক বিএড কলেজ মানেনি। সমপরিমাণ টাকা তো দেওয়া হয়ইনি, উপরন্তু, নগদে বেতন দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রমান স্বরূপ একাধিক ব্য়াঙ্ক ট্রানজাকশনের হিস্ট্রি দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেগুলো সবই ভুয়ো।  এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক কলেজেই ছাত্র-শিক্ষক রেশিও মানা হচ্ছে না। 


বর্তমানে রাজ্য়ে বেসরকারি বিএড কলেজের সংখ্য়া ৬০১। এরমধ্য়ে চলতি বছরের জন্য় ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করেছে বাবা সাহেব অম্বেডকর শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, কলেজে অন্য় সিমেস্টারে ইতিমধ্য়েই যে পড়ুয়ারা রয়েছেন, তাঁদের পঠনপাঠন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ না মানলে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি