কলকাতা: মিমের সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন দল, ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের। পাশাপাশি ১ লক্ষ কণ্ঠে কোরান পাঠের ঘোষণা করেছেন তিনি। এবার এই ইস্যুতে তাৎপূর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের।
আরও পড়ুন, 'দম থাকলে কর..' গীতাপাঠ শুরু আগেই ব্রিগেডে বিস্ফোরক দিলীপ !
এদিন সজল ঘোষ বলেন, 'সে তো সব বুঝলাম, যেটা আমাদের অ্যাজেন্ডার মধ্যেই পড়ে, ওনার কথা অনুযায়ী। কিন্তু মাংস খাইয়ে কোরান পাঠ করাতে হবে ! এত খারাপ অবস্থা !.. এটা আমি বিশ্বাস করি না। উনি স্বপ্ন দেখছেন আগামীদিন উনি উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন।মমতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন আর, সংখ্যাধিক্য এমএলএ রাখবেন। সেই এমএলএ-র জোরে উনি উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চাইবেন। উনি আসলে মুসলিম সমাজের নেতা হতে চাইছেন। আমি আপনাকে লিখে দিচ্ছি, এই সমস্ত কিছু পিছনে, যিনি আছেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।..হুমায়ুন কবির তো আর বাবরের ছেলে নন, কালকে যত টাকা খরচ হয়েছে, টাকা কোথা থেকে এল ? সেই তদন্ত রাজ্য সরকার করুক। এই টাকা কোন ফান্ড থেকে এল, কোন জায়গা থেকে এল, বিদেশি শক্তির হাত আছে কিনা, সমস্তটা ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ যেভাবে কালকে হাজার হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি, ওই যে বিশাল যে আয়োজন, টাকা কোথা থেকে এল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলছেন, পেছনে নেই। আসলে মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। সবাই বিজেপিতে আসছিলেন না, বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ছিলেন। এখন থার্ড পার্টি প্রয়োগ করে, হুমায়ুনকে দিয়ে সেই ছড়িয়ে পড়া, মুসলিম শক্তিকে একত্রিত করার, প্রয়াস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'হিন্দুদের ওপর আগামীদিনে যে বিপদ আসছে, সেই বিপদের কিছু একটা প্রতিচ্ছবি বা প্রতিধ্বনি বলা ভাল, আমরা কালকে (শনিবার) দেখতে পেয়েছি। যেটা চলেছে, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, যে, হিন্দু ভোট ভাগ করার চক্রান্ত, মুসলিম ভোটকে এক করার চক্রান্ত চলছে।যেটা হচ্ছে, তার জন্য় দায়ী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এই ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বরাবর তোল্লা দিয়েছে। তোল্লা দিয়ে এইভাবে ওপরে তুলেছে। ২১-এর ভোটে তো ভোট কারা দিয়েছে? মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে তো সিংহভাগ হিন্দু ভোট দেয়নি। হিন্দুরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বিশ্বাস করে না। জানে যে, এ জবাই করবে।'বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাবরি কখনও রিপিট হতে পারে না। যত এরকম ধরনের জিনিস মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় করতে চাইবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ওঁর থেকে দূরে (সরে) যাবে। এখানে পরিকল্পিতভাবে, সুপরিকল্পিতভাবে হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করে দেখিয়ে, মুসলমান ভোট একসঙ্গে করার জন্য় এই সমীকরণ করা হয়েছে।'