কলকাতা: আজ ব্রিগেডেই '৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে'র আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। এদিন ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে  বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন রাজ্যের শাসকদলকে।  

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, আজ ৫ লক্ষ কণ্ঠে ব্রিগেডে গীতাপাঠ, মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ, আসবেন কি মমতা ?

Continues below advertisement

এদিন দিলীপ বলেন, 'পশ্চিমবাংলা বিভাজনের শিকার হয়েছে হিন্দু-মুসলমানের নেতৃত্বে। হিন্দু সমাজ সংগঠিত ছিল না, তাই বিভাজনের বলি হয়েছি আমরা। লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও দাস জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশে আমাদের ভাইয়েরা অত্যাচারিত হচ্ছেন। মঠ মন্দির ধ্বংস করে, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই ঘটনা না হোক, সেই জন্য এখানে হিন্দু জাগরণের দায়িত্ব নিয়েছেন সন্তরা। তাঁরা আমাদের আদেশ করেছেন আসুন, লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় গীতাপাঠ করে, হিন্দুকে সংগঠিত করি। যাতে দ্বিতীয়বার বিভাজন না হয়। হিন্দুকে পরাধীন হতে না হয়। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতবর্ষে মাথা উচু করে বাঁচবে এখানে। যেখানে দশবার ভগবান জন্মেছেন। ..সেজন্য গীতাপাঠের আয়োজন।'

প্রশ্ন: তৃণমূল বলছে, রাজনীতি করছে এটা নিয়ে..

দিলীপ ঘোষ : তো ওদের করতে না কে বলেছে ? কর দম থাকলে, আমরা করব। রাম মন্দির করেছি, কৃষ্ণ মন্দির করেছি, এটাও করব। 

গত বছর, লোকসভা ভোটের আগেও, ব্রিগেডেই হয়েছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ।আর কয়েক মাস পরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার মহারণ!তার আগে রবিবার সেই ব্রিগেডেই '৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে'র আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। তারই শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে ব্রিগেডে।রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। চলবে দুপুর ২ টো পর্যন্ত। গীতা পাঠের আগে হবে বেদ পাঠ। ৩টি ভাগে ভাগ করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। মূল মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে পার্থসারথি মঞ্চ। এখানেই বসবেন দেড়শো জন সাধু সন্ত।

মূল মঞ্চের বাঁদিকের মঞ্চের নাম চৈতন্য মহাপ্রভু মঞ্চ। আর ডানদিকে থাকছে শঙ্করাচার্য মঞ্চ। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকা ও বেরনোর জন্য ২৫টি গেট তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও নেপাল থেকেও অনেকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আমন্ত্রিত মতুয়া-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রধান  কার্তিক মহারাজ বলেন,  নিরাপত্তার দিকটা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব, গীতা পাঠে যোগ দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁর কাছ থেকে এখনও কোনও উত্তর আসেনি। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।