গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  বাঘাযতীনে বহুতল বিপর্যয়ে গ্রেফতার প্রোমোটার। বকখালি থেকে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেবে সুন্দরবন পুলিশ জেলা। 

গত ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনে পাশের বাড়ির ওপর হেলে পড়ে গোটা বিল্ডিং। তৈরির ১২ বছরের মধ্যেই ভাঙে ফ্ল্যাট। স্থানীয়দের দাবি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও নজরদারি ছাড়াই, হেলে থাকা অ্যাপার্টমেন্ট সোজা করতে গিয়ে বিপর্যয় ঘটেছে। বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, ২০১৩ সালে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ৫-৬ বছর পর সমস্যা শুরু হয়। প্রোমোটার সম্প্রতি হরিয়ানার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বহুতল সোজা করার কাজ করাচ্ছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, জলাজমি বুজিয়ে বহুতল তৈরির পাশাপাশি, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তিনতলা ফ্ল্যাটবাড়ি চারতলা করা হয়েছিল। সেই কারণেই বিপত্তি। এরপরই প্রোমোটার সুভাষ রায়, ফ্ল্যাটের মালিক এবং হরিয়ানার সংস্থার বিরুদ্ধে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনা সামনে আসতেই বেপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত প্রোমোটার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার বকখালি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। যদিও এখনও পর্যন্ত হরিয়ানার ঠিকাদার সংস্থারও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

ইতিমধ্যেই চারতলা বহুতল ভেঙে ফেলার কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুরসভা কী করছিল? নজরদারি ছিল না কেন? যে পদ্ধতিতে ভাঙা হচ্ছে তাতে আশঙ্কিত এলাকাবাসী। এদিকে এদিন বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতালির পিসার হেলানো  টাওয়ারের ছবি দিয়ে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, "কলকাতার আধুনিক স্থপতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাহেব কলকাতাকে এমন স্থাপত্যে ভরিয়ে তুলেছেন। গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন, সিটি অফ জয় এখন সিটি অফ ‘ভয়’। আবার কোন বাড়ি হেলে পড়ে, তা নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তৃণমূল-প্রোমোটার-কলকাতা পুরসভা যোগসাজশে যথেচ্ছভাবে জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। ভুল প্ল্যানও স্যাংশন করা হচ্ছে। ঘুষের বিনিময়ে বেআইনি নির্মাণ চলছে। নজরদারির অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।''

 

আরও পড়ুন: Water Supply: সপ্তাহান্তে বন্ধ থাকবে পরিষেবা, শহরে জলসঙ্কটের আশঙ্কা