কলকাতা: স্যালাইন মামলায় রিঙ্গার্স ল্যাকটেট বন্ধের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। স্যালাইন মামলায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের নির্দেশ 'সব হাসপাতালে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যারা এই ড্রাগ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।'
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ সেপটিক শক। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই বলা হয়েছে। মামণি রুইদাসের শরীরের বেশ কিছু অংশে জল জমেছিল। তার থেকেই মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর এবং সেপটিক শক হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে কোনও কিছুর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভুলের দায় চিকিৎসকদের নয়। জন্মের পরই মাতৃহারা হয়েছে শিশু। নিজের শরীরে তিল তিল করে বেড়ে ওঠা সন্তানকে ছুঁঁয়েও দেখতে পারেননি মা। কিন্তু, তার জন্য় দায়ী কে? মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের স্য়ালাইনকাণ্ডে এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন সেটাই। মৃত প্রসূতির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,মৃত মামণি রুইদাসের মস্তিষ্ক, ফুসফুস, দুটি কিডনি ও লিভারে জল জমেছিল। তা থেকেই মাল্টি অর্গান ফেলিওর এবং সেই থেকেই সেপটিক শক। তার জেরেই মৃত্য়ু হয় প্রসূতির। এর মূলে কি রয়েছে নিষিদ্ধ স্য়ালাইন?
সূত্রের খবর, স্য়ালাইনকাণ্ডের তদন্তে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, যেদিন অস্ত্রোপচার হয়, সেদিন রাতে স্ত্রীরোগ বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন একজন সিনিয়র RMO.CC ক্যামেরায় তাঁকে অপারেশন রুমে ঢুকতে দেখা গেলেও, সূত্রের দাবি, তিনি অপারেশন করেননি। অস্ত্রোপচার করেন পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনিরা। মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ বলেন, ট্রেনি চিকিৎসকরা, ওদেরকে সবসময় সিনিয়র চিকিৎসকদের অধীনেই কাজ করতে হয়। যথাযথ ডিউটি রস্টারও মেনে চলতে হয়। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি হয়। সেখানে বলা হয়, PGT বা জুনিয়র চিকিৎসকরা একা কোনও সার্জারি করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন, ডোমকলে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি ছিনতাই ! ASI-এর আঙুলে কোপ, ' ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা..'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্য সরকার তার তরফে থেকে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। যদি কারও গাফিলতি এখানে পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমরা এগুলো আগেও করেছি, দল মত নির্বিশেষে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।'