কলকাতা: বাগুইআটিতে (Baguiati Twin Murder) দুই কিশোর খুন হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোনন্য়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বুধবারই বাগুইআটি খুনের ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ক্লোজ করা হয়েছে থানার আইসি-কে। তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিলেন ফিরহাদ।
বাগুইআটির দুই কিশোর খুনে সিআইডি-র হাতে তদন্তভার
এ দিন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, "পুলিশের সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। পুলিশ যদি অন্য জায়গায় ছিল, দরকারে কথা বলা উচিত ছিল সিআইডি-র সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আইসি-কে ক্লোজ করা হয়েথে। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডি-র হাতে। এই দুঃখের সময় ওই পরিবারগুলির পাশে আছি আমরা।'
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে গিয়ে ফিরহাদ আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে অতক্যন্ত বেদনাগ্রস্ত। ছোট ছোট দু'টি ছেলের সঙ্গে এই ঘটনা, অত্যন্ত দুঃখজনক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। অবিলম্বে এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে ডিজি-কে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।"
আরও পড়ুন: Baguiati Twin Murder: দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার, খবর পৌঁছেছিল বিধাননগর কমিশনারেটে! দাবি সূত্রের
আইসি-কে ক্লোজ করা এবং সিআইডি তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাগুইআটিবাসী। তাঁদের বক্তব্য, গত ১৬ দিন ধরে ওই আইসি কোনও কাজ করেননি। আমাদের বাচ্চাদু'টি চলে গিয়েছে, এখন দোষীদের বাড়ি পাহারা দিতে আসছেন। আমরা সিআইডি তদন্তই চাইছিলাম। দিদি নির্দেশ দিয়েছেন। আসামীকে গ্রেফতার করতে হবে। ওঁকে ক্লোজ করা হয়েছে, আমরা খুব খুশি"
বাগুইআটির দুই কিশোরের অপহরণ এবং খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যেই এ বার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠেছে। দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের পরই বিধাননগর কমিশনারেটকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি সামনে এল। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটকে। নয়ানজুলি থেকে দেহ দু'টি উদ্ধার হওয়ার পর ছবি তুলে বিষয়টি জানানো হয় বলে খবর। শুধু বিধাননগর কমিশনারেটই নয়, সমস্ত থানাকে জানানো হয়েছিল বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে সামনে এল।
দুই কিশোরকে খুনে ক্লোজ করা হল থানার আইসি-কে
বিধাননগর কমিশনারেটের যদিও দাবি, বসিরহাট থানা থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, বিধাননগর কমিশনারেট ও বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে যে দাবি করা হচ্ছে, তা পরস্পরবিরোধী।