বাগুইআটি: দুই কিশোরের অপহরণ এবং খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। তার মধ্যেই এ বার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের পরই বিধাননগর কমিশনারেটকে জানানো হয়েছিল বলে এ বার দাবি সামনে এল। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটকে (Baguiati News)। নয়ানজুলি থেকে দেহ দু'টি উদ্ধার হওয়ার পর ছবি তুলে বিষয়টি জানানো হয় বলে খবর। শুধু বিধাননগর কমিশনারেটই নয়, সমস্ত থানাকে জানানো হয়েছিল বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে সামনে এল (Bidhannagar Commissionerate)। 


বিধাননগর কমিশনারেটের যদিও দাবি, বসিরহাট থানা থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, বিধাননগর কমিশনারেট ও বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে যে দাবি করা হচ্ছে, তা পরস্পরবিরোধী।   


দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয় বিধাননগর কমিশনারেটকে!


বাগুইআটিতে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় (Baguiati Twin Murder) পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব মৃতের পরিবার। অভিযোগ, সব তথ্য জানানো হলেও, সক্রিয়তা দেখায়নি পুলিশ। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে প্রায় ১৩ দিন ধরে দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও, বাগুইআটি থানার পুলিশ কেন তা জানতে পারল না, উঠছে সেই প্রশ্নও। 


আরও পড়ুন: Baguiati Twin Murder: চা-খাবার খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন, চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয় দুই ছাত্রের দেহ!


সূত্রের খবর, ২২ অগাস্ট বাগুইআটি থেকে অপহরণ করা হয়। ২৪ অগাস্ট অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এর আগে ২৩ তারিখই উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার শিরিষতলা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে বোঝা যায় এটা অতনু দে-র দেহ। ২৫ তারিখ, হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে আরেক ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। 

এর পর দুটি মৃতদেহ পুলিশ মর্গেই দাবিদারহীন অবস্থায় হয়ে পড়ে থাকে। আর এখানেই নিহতদের পরিবারের প্রশ্ন, বসিরহাটের পুলিশ মর্গে ১১ থেকে ১৩ দিন ধরে দেহ দু’টি পড়ে রইল অথচ বাগুইআটি থানা কেন জানতে পারল না? বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ও বসিরহাট পুলিশ জেলার মধ্যে কী করে সমন্বয়ের খামতি থেকে গেল? তাতে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে নিহত ছাত্রদের পরিবার। 


মর্গেই দাবিহীন অবস্থায় পড়েছিল দুই ছাত্রের দেহ!


পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। CBI তদন্ত চান প্রতিবেশীরা। বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি’র দাবি, ২৩ অগাস্ট একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ময়নাতদন্ত করা হয়। তার পরে মৃতের পরিচয় জানার জন্য নিয়মমাফিক সমস্ত থানায় খবর পাঠানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে দুই কিশোরের পরিবার।