কলকাতা: মানিকের স্ত্রী-পুত্রের জামিনের আর্জি খারিজ, ফের হাজতবাস (Jail)। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী-পুত্রের হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতেই (Jail Custody) প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি।


আদালতে রিমান্ড রিপোর্টে ইডির দাবি, 'বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটির সম্পত্তির মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর পরিবার ও সংস্থার নামে থাকা ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। ডিএলএড-এ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩ দফায় ২০ কোটি টাকার বেশি যায় মানিকের কাছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৩ দফায় ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেন মানিক। তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে লোক পাঠিয়ে টাকা নেন মানিক ভট্টাচার্য।'


ইডি-র (ED) আইনজীবী আদালতে (Court) দাবি করেছে, মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কার্যত বিশ্বভ্রমণ করেছেন।কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি। মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা দিয়েই এই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। আর এই ইস্যুতেই শাসকদলকে (TMC) তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেছেন,  'এই যে দুর্নীতির টাকা, এই টাকাতে কত জন, কতজনের স্বপ্ন পূরণ করেছে, কেউ বিশ্বভ্রমণ করেছেন, কেউ হয়তো চোখের ট্রিটমেন্ট করাতে বিদেশে গিয়েছেন। বিপদে পড়লেই তৃণমূল কংগ্রেসের বড় নেতারা বিদেশে চলে যান। চাপ যত বাড়ছে, এই চাপ রিলিজ করতে একটু বিদেশ ভ্রমণে যেতেই হবে মনে হচ্ছে কিছু নেতাদেরকে।'


সম্প্রতি মামলায়, মানিক ভট্টাচার্যকে কোর্টে বিচারকের ধমক দেওয়া হয়। 'আইন কলেজের একজন অধ্যক্ষ ছিলেন, আইন জানেন না?' বলেই মন্তব্য করেন বিচারক। আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল কিছু বলতে চান। তখন বিচারক বলেন, আমরা সবাই আইনের ছাত্র। শুনেছি উনি আইন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। ওনার নিশ্চই জানেন, একবার আইনজীবী নিয়োগ করলে আর আদালতে নিজে বলা যায় না। কোর্টের ডেকোরাম তো জানা উচিত।'


আরও পড়ুন, DA ধর্নায় 'না' পুলিশের, দাবি আন্দোলনকারীদের


এরপর, মানিক ভট্টাচার্য বলেন, আমি আর্টিকল ২১ ব্যবহার করতে চাই। তখন বিচারক বলেন, আর্টিকল ২১-এর জন্য হাইকোর্টে যেতে হয়। তখন মানিক ভট্টাচার্য বলেন, একটি কথা বলতে চাই। এর বিরোধিতা করে ED-র আইনজীবী বলেন, ওনার ভাই হীরালাল ভট্টাচার্য। অনেকগুলি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাঁর নামেও অ্যাকাউন্ট আছে। উনি (হীরালাল ভট্টাচার্য) জানিয়েছেন যে, আমার দুর্ভাগ্য আমি মানিক ভট্টাচার্যর দাদা। জোর করে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। একজন বাবার কর্তব্য তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে রক্ষা করা। মানিক ভট্টাচার্যর জন্য তাঁর স্ত্রী ও ছেলে জেলে রয়েছেন।'