কলকাতা: ২৯ মার্চ ধর্নায় (DA Agitation) 'না' বসতে বলল পুলিশ, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Agitators) । '২৯ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে একটি রাজনৈতিক দলের সভা। সেজন্য পুলিশ ২৯ মার্চ শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নায় না বসার কথা বলেছে', দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের।


সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim ) । সেই একই শব্দবন্ধ পোস্টারে ব্যবহার হওয়ায় নেপথ্যে কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরেও আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই ঘটনার পর ডিএ আন্দোলনকারীদের একাংশ মিল খুঁজে পাচ্ছেন 'বিশেষ একজনের' বক্তব্যের। এতে লাভ হবে না বলেও জানান তাঁরা, বলেন চলবে আন্দোলন, বাড়বে ঝাঁঝ। 


আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। কিন্তু, সেই বৈঠকের পরও অধরাই থেকে  যায় সমাধান সূত্র! রাজ্য সরকার সম্মানজনক শর্তে রাজি হলে তবেই প্রত্যাহার করা হবে অনশন, রাজভবনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ! পাল্টা আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলে সুর চড়ান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 


রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিও বৃদ্ধির ঘোষণার পরও, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক ৩২ শতাংশ। এই ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে কর্মবিরতি, ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে ধরে চলছে অনশনও। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আন্দোলনকারীদের অনেকে।  


 প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এমনিতেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির টানাপোড়েন চলছে বহু দিন ধরে। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। নিয়োগের দাবি ঘিরেও তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে, যৌথভাবে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা


আন্দোলনের কারণ ভিন্ন হলেও দাবি, সকলেই বঞ্চিত। কারও দাবি নিয়োগের। কেউ পথে বসে আছেন বকেয়া DA-র দাবিতে।  বকেয়া DA এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সরকারি কর্মীদের সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে সহমর্মিতা জানাতে এসেছিলেন সম্প্রতি আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, 'এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলে বঞ্চিত। বঞ্চিতদের দল হয় না। সকলেই এক।' দু'পক্ষেরই দাবি, বঞ্চনাই তাঁদের পথ এক করেছে। পাশাপাশি, আন্দোলনকারী আরও চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছিলেন, এবার থেকে প্রতিদিন তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হবেন।