কলকাতা: আদালতে পুরোপুরি স্বস্তি মিলল না বিজেপির। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৮ জনের জামিন মঞ্জুর হলেও, আদালতের নির্দেশে বাকিদের থাকতে হবে জেলেই। এক মাস পরও কেন জামিন মিলছে না? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তুঙ্গে উঠেছে তরজা।
আদালতে পুরোপুরি স্বস্তি মিলল না বিজেপির: বিজেপির নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়াদের জামিন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গঙ্গার দু’পাড়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস-জল কামান ছোড়ে পুলিশ। বড়বাজারে পুলিশের গাড়ি জ্বালানো হয়। লাঠি চালায় পুলিশও। আহত হন একাধিক বিজেপি কর্মী। জখম হন পুলিশ কর্মী থেকে পুলিশ কর্তাও। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে।
জামিন নিয়ে তুঙ্গে তরজা: মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে ১৭জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ৮ জনের জামিন মঞ্জুর হলেও বাকিদের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। ধৃত ৯ জনকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে১১ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বাকিদের। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের অনেকেই এখনও জেলবন্দি, মেলেনি জামিন।সে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। নবান্ন অভিযানের প্রায় এক মাস পার, এখনও সেনিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান।
এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ (BJP Nabanna Abhijan)। তা নিয়ে গত মাসেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দিল বিজেপি-র (BJP) কেন্দ্রীয় দল। একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে নবান্নের উদ্দেশে মিছিল করে যাওয়া বিজেপি কর্মীদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। মীনাদেবী পুরোহিত এবং বিজেপি কর্মীদের আহত হওয়ার জন্য সরাসরি পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। গোটা বিষয়টিই পূর্ব পরিকল্পনার অংশ বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় দল জানিয়েছে, বাংলায় চরম অরাজকতা চলছে। আইনের শাসন নেই এ রাজ্যে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি থাকলে সরাসরি মাথায় গুলি করতেন। এতেই প্রমাণিত হয় পূর্ব পরিকল্পনা করেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই রিপোর্টে নাড্ডার কাছে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় দল। তাতে বলা হয়েছে, বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে রাজ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি দলকে বাংলায় পাঠানো উচিত। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: তৃণমূল বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ, বেধড়ক মারধর, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর