কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: আজ সিজেএম আদালতে (CJM Court) জামিনের আবেদন করা হল জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari Bail Petition)। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ধৃত আট জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আবার গত কাল জানায়, কাউন্সিলর-সহ দুজনকে নির্দিষ্ট মেয়াদ না পেরোনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। এই দুই তথ্য সামনে রেখেই  মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির জামিনের আবেদন করা হয়। যদিও সরকারি তরফের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ, সব প্রশ্নের উত্তর তথ্য সহকারে দেওয়ার জন্য দুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন। আগামী ২৩ তারিখ তিনি সেই তথ্য জমা দেবেন। আগামী ২৩ মার্চ পরবর্তী শুনানি।


কী ঘটেছিল?
বাইশের শেষে একটি মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল আসানসোল। গত ১৪ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় এক কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়। সেই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই ঘটনায় জিতেন্দ্রর গ্রেফতারি নিয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল পোস্টে জিতেন্দ্রর ইস্যুর পাশাপাশি, পানিহাটির মেলায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকেও টানেন তিনি। গায়ক কেকে-র মৃত্যুর ইস্যু নিয়েও শাসকদলের দিকে তোলেন প্রশ্ন।


প্রশ্ন জিতেন্দ্রর...
জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতারি ইস্যুতে ফেসবুকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য গ্রেফতার করা হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। অথচ গতবছর পানিহাটির দইচিঁড়ে মেলায়, পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন মারা যায়। মারাত্মক অব্যবস্থাপনায় প্রাণ দিলেন বিখ্যাত গায়ক কেকে। কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে ? হয়নি। কারণ তাঁরা শাসকদলের লোক।' রাজ্যে গতবছর ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনারগুলির মধ্যে অন্যতম পানিহাটির দইচিঁড়ে মেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু এবং কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে কেকে-র মৃত্যু। গতবছর জুন মাসে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির দই-চিঁড়ের মেলায় ভিড়ের চাপে ও প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেসময়। এই পরিস্থিতিতে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুণ্যার্থীদের মেলার মাঠ থেকে বের করে আনা হয়েছিল। পরে তিনজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।


আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ, ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশা যাওয়ার পথে ঘোষণা