আসানসোল: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ফের অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তিনি জানান, অনুব্রতর সঙ্গে এনামুলের সরাসরি যোগের প্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই (CBI)। গরুপাচারের সঙ্গে অনুব্রত-যোগেরও জোরাল প্রমাণ দিতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থা।
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ফের জামিনের আর্জি খারিজ অনুব্রতর
এর পর তদন্তের অগ্রগতি ও অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখার কারণ জানতে চান বিচারক। জবাবে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, এনামুলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি জানতে চান, গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ পাওয়া গেছে কি? এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ আছে কি? তাতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, গরু পাচারের জন্য কাস্টমস আধিকারিকদের হুমকি দিতেন অনুব্রতর লোকজন। এর পরই অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারত। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয় অনুব্রতকে। বুধবারই তার মেয়াদ শেষ হয়। তাতে এ দিন ফের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অুনুব্রতকে। জেল থেকে বেরিয়ে আদালতে ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অনুব্রত। তিনি বলেন, "শরীর ভাল নেই।" ঘটনাচক্রে এ দিনই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ও দফতরে সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি অনুব্রত।
এর আগে, মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকেও জেলে রেখেই ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়। আসানসোলে সিবিআই-এরবিশেষ আদালতে আবেদন জানান আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, পার্থর পর অনুব্রত-মামলাতেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়। জেলে ভার্চুয়াল শুনানির জন্য সবরকম বন্দোবস্ত রয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ।
আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রতর
অন্য দিকে, সিউড়ি এবং বোলপুরের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চার আধিকারিককেও তলব করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে দুই ব্যাঙ্ক আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড করেছে তারা। সূত্রের খবর, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য জানতে তাঁদের বেশ কিছু নথি আনতে বলা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট হাতে এসেছে। এ ছাড়া, অনুব্রতর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামেও একাধিক ব্যাঙ্কে টাকা রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান। সেই সূত্রেই ব্যাঙ্কের চার আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ।