কলকাতা : নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ২৪  ঘণ্টার মধ্যেই  'দিদি'র হয়ে ব্যাটন ধরেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। শুভেন্দুকে কার্যত একহাত নেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দেন কড়া ভাষায়। 


এরপর দেরি না করে জবাব আসে শুভেন্দুর তরফে। সংবাদমাধ্যমে শোভনকে ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু । শোভনকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ওই ভাঁড়েদের কথার কী গুরুত্ব আছে! ' ভাঁড়ামি ' আক্রমণের জবাব দিতে ময়দানে নামলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী।  শোভনের হয়ে বাকযুদ্ধে নেমে শুভেন্দুকে  'ভণ্ড- ভাঁওতাবাজ' বলে আক্রমণ করেন তিনি। বৈশাখী আরও বলেন, ভণ্ডামির থেকে ভাঁড়ামি ভাল ! ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃপা না পেলে কোনওদিনও মন্ত্রী হতে পারতেন না’ শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে (এই) বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এই বাড়িতেই ছিলেন উনি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হয়। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ রাতে এই বাড়ির ছাদে ছিলেন। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি থেকে দিদিমা হতেন উনি। কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। '' বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, 'এই বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে আমার ৮৪ বছরের পিতৃদেব এবং ৭৫ বছরের মাতৃদেবী, যাঁরা নার্সের নজরদারিতে থাকেন, গত এক বছর ধরে তাঁদের বিব্রত করা হচ্ছে।"


‘ইতিহাস বিকৃত করছেন শুভেন্দু'
শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দিয়ে শোভন বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করছেন শুভেন্দু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে সাংসদ বা মন্ত্রী হতে পারতেন না শুভেন্দু’। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র আরও বলেন, ‘মমতাকে আক্রমণ করলে জবাব মিলবে’।


প্রেক্ষাপট 
 কাঁথির শান্তিকুঞ্জে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যান। শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎই উদ্দেশ্য বলে জানান। সেখানে দরজার বাইরে তাঁকে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সুকান্তর আগমনের নেপথ্যে রাজনৈতিক পটচিত্রের কথা জানতে চাইলে, উড়িয়ে দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, "এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার দরকার নেই। আমার পিতৃদেব এবং মাতৃদেবীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে এসেছেন উনি। উনিও তাঁদের কাছে পুত্রসমানই।"