কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনার পর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। সজাগ রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যেই র‍্যাগিং রুখতে তৎপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্যরাও। আর যাদবপুরকাণ্ডের মাঝেই সামনে এসেছে আরও এক ভয়াবহ অভিযোগ। বালিগঞ্জ টেকনোলজি হস্টেলে ছাত্রের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্য়ে এসেছে। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পড়ুয়া বিশ্বজিৎ হাজরা। 'অভিযুক্তরা শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলেই আড়াল করার চেষ্টা ?' প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


'অভিযুক্তরা শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলেই আড়াল করার চেষ্টা ?'


অভিযোগকারী ছাত্র স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, 'অবশেষে তৎপর পুলিশ, হস্টেলে গিয়ে সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। হস্টেলের রেজিস্টার বুকটিও নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ করার পরে পুলিশ এই তৎপরতা দেখালে আরও ভালো হত। অভিযোগকারী ছাত্র প্রশ্ন তুলে বলেছেন, 'পুলিশি তদন্তের আগেই কীভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন র‍্যাগিং হয়নি ? পাশাপাশি তিনি আরও বড় গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযুক্তরা শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলেই আড়াল করার চেষ্টা ?' ১৬৬ বছর পুরনো মেধার উৎকর্ষ কেন্দ্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের বি-টেকের সদ্য পাস আউট পড়ুয়া বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ৪ বছর ধরে লাগাতার অভিযোগ করেও কোনও সুবিচার পাননি তিনি।  


৪ বছর ধরে হস্টেলে নির্যাতনের শিকার, বিস্ফোরক অভিযোগ


উল্লেখ্য, ৭ জুলাই বালিগঞ্জ থানায় পড়ুয়ার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়, ৮ জুলাই রুজু হয় এফআইআর। দেড় মাস পর গতকাল রেকর্ড করা হয় অভিযোগকারী পড়ুয়ার গোপন জবানবন্দি। ৪ বছর ধরে হস্টেলে নির্যাতনের শিকার, বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের পাস আউট পড়ুয়া বিশ্বজিৎ হাজরার। বারবার অভিযোগ করেও মেলেনি বিচার, নাম জড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার। 


আরও পড়ুন, ফের গঙ্গা ভাঙ্গনের গ্রাসে মানিকচক, ফসল নিয়ে পালাচ্ছেন স্থানীয়রা 


কে এই বিশ্বজিৎ হাজরা ?


বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজির সদ্য প্রাক্তন বিশ্বজিৎ হাজরা। বাড়ি বীরভূমের জয়দেবে। এখানে, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের হস্টেলে থাকতেন। তাঁর অভিযোগ, গত ৪ বছর ধরে হস্টেলে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য় র‍্যাগিং-এর সরাসরি অভিযোগ ছিল না। ওই পড়ুয়া অত্য়াচারের অভিযোগ করেছিল। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।