মুন্না অগ্রবাল, বালুরঘাট: মূর্তি চুরি এদেশে নতুন কিছু নয়। খাজুরাহো থেকে কৈলাশ, অজন্তা-ইলোরা দেশের প্রাচীন সব মন্দিরের গা থেকে মূর্তি চুরি করে তা পাচার করে দেওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার বালুরঘাটের পুলিশ উদ্ধার করল এক প্রাচীন অষ্টধাতুর মূর্তি। 


শুধু তাই নয়, ওই মূর্তির ব্রোঞ্চের রেপ্লিকা-সহ আরও দুটি মূর্তি উদ্ধার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ইতিহাসবিদের মতে অষ্টধাতুর ওই মূর্তিটি ১৪ শতকের হতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। কোন মন্দির থেকে এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে, কিংবা কীভাবে চুরি করলেন ওই দুই ব্যক্তি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ক্রেতা সেজে বালুরঘাটের ছিন্নমস্তা পল্লী এলাকার এক বাড়ি থেকে মূর্তি দুটি উদ্ধার করে। ঘটনায় ধৃত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই জন বাবা ও ছেলে। নাম প্রমোদ বর্মন (৬২) এবং ষষ্ঠী বর্মন (২৭)। ধৃতদের বাড়ি বালুরঘাট থানার বাদামাইল এলাকায়। কাজের সূত্রে তারা বালুরঘাটের ছিন্নমস্তা পল্লীতে ভাড়া থাকতেন।


দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুলবাবু জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ক্রেতা সেজে ওই বাড়িতে গিয়ে মূর্তি দুটি উদ্ধার করে। ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূর্তির পুরাতাত্ত্বিক বিষয়ে জানতে ইতিহাসবিদদের সাহায্য নেওয়া হবে।


জেলার ইতিহাসবিদ সুকুমার সরকার জানান, অষ্টধাতুর মূর্তিটি একটি রাধা মূর্তি। গঠন শৈলীতে বৌদ্ধ শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে। তাত্ত্বিক হিসাবে এর মূল্য অনেক হতে পারে। বলা ভাল দুর্মূল্য। 


এদিকে, পাণ্ডবেশ্বরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ত্রিশ হাজার  টাকা উধাও। অভিযোগ দায়ের পাণ্ডবেশ্বর থানায়। অভিযোগ করলেন ওই ব্যাঙ্কেরই এক গ্রাহক পাণ্ডবেশ্বরের রামনগরের বাসিন্দা সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। 


সন্দীপবাবু বলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের হুমকিতে ভয় পেয়ে তিনি গতকাল রাতে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ মতো শনিবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ সন্দীপবাবুকে নিয়ে ব্যাঙ্কে পৌঁছোয়। সন্দীপবাবু এও জানান পুলিশ তদন্ত করলে এই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ওঠা আরও অনেক অভিযোগ প্রমাণিত হবে ।