নয়া দিল্লি : স্বাধীনতা দিবসের সুরক্ষাবলয়ে এবার নয়া সংযোজন। দিল্লিতে লাল কেল্লায় ঢোকার রাস্তায় উঠছে 'লোহার বাক্সের' দেওয়াল। ১৫ অগাস্টের আগে কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিল্লি পুলিশ।


২৬ জানুয়ারির 'হিংসাত্মক' কৃষক আন্দোলন থেকে শিক্ষা। সেবার লাল কেল্লায় ঢুকে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের আশঙ্কা, কৃষক আন্দোলনের ভিড়ে মিশে থাকতে পারে কোনও জঙ্গি। তাই লাল কেল্লায় প্রবেশের আগেই বসানো হয়েছে বড়-বড় লোহার বাক্স। ১৫ অগাস্টের আগে স্বাধীনতার রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হবে এই বাক্সগুলি। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দেশে সাম্প্রতিক ড্রোন হানার কথা মাথায় রেখেও এই নতুন সুরক্ষার পরিকল্পনা করা হয়েছে।


সম্প্রতি রাজধানীবাসীকে সতর্ক করতে লাল কেল্লার বিভিন্ন রাস্তায় ৬ আল কায়েদা জঙ্গির পোস্টার লাগিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের নামের পাশে তাদের ঠিকানাও দেওয়া রয়েছে ছবিতে। দিল্লিবাসীর কাছে সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ছবির 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ৬ জঙ্গির সঙ্গে আল কায়েদার যোগ রয়েছে। দেশে স্বাধীনতা দিবসের আগে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। শুধু দিল্লি নয়, দেশের অন্য জায়গাতেও হামলার চেষ্টা চালাবে জঙ্গিরা। দেশে অশান্তি ছড়িয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তারা।


প্রথা মেনে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এবার কৃষক আন্দোলনের বেশে লাল কেল্লায় সামিল হতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে দিল্লি। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজধানীতে 'অ্যান্টি ড্রোন অপারেটিং সিস্টেম' বসে যাবে। ফলে সহজেই ড্রোনের উড়ান বন্ধ করতে পারবে প্রশাসন। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেওয়ালে ঘেরা চাদনি চকের প্রতিটি বাড়িতে চলবে তল্লাশি। 


ইতিমধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের সুরক্ষায় রাজধানীতে অতিরিক্তি ২০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরা ফুটেজে নজর রাখতে তৈরি হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। এবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সাত-স্তরীয় নিরাপত্তা অতিক্রম করতে হবে। তবেই লালকেল্লা চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন তাঁরা।