কলকাতা: বেঙ্গালুরুতে (Bangalore Incident) সন্ত্রাস করে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ২ জঙ্গি। ভুয়ো আধার কার্ড, নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে একাধিক হোটেলে তারা আস্তানা গেরেছিল বলে দাবি। কিন্তু কীভাবে পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে আত্মগোপন করে রইল সন্দেহভাজন ২ জঙ্গি? কতটা সুরক্ষিত কলকাতা? উঠছে সেই প্রশ্নগুলোই।


কোথায় নিরাপত্তা? 


সূত্রের খবর, বাংলায় প্রায় ১ মাস ধরে আত্মগোপন করেছিল রামেশ্বরম বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ২ I S জঙ্গি মুসাভির ও আব্দুল। নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলেছে তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে আত্মগোপন করে ছিল শহরের বুকে। সেখান থেকে সোজা পাড়ি দিয়েছে বাঙালিদের অন্য়তম পছন্দের উইক এন্ড ডেস্টিনেশন দিঘা। আর এখানেই উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। কোথায় শহরের নিরাপত্তা? ১ মাস ধরে শহরের বুকে লুকিয়ে রয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, আর পুলিশ, গোয়েন্দাদের কাছে কোনও তথ্য় নেই? কলকাতা কি তবে জঙ্গিদের সেফ প্য়াসেজ হয়ে উঠছে? এবিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা পঙ্কজ দত্ত বলেন, "বেঙ্গল পুলিশের যে STF, কলকাতা পুলিশের যে STF তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে মানুষের হতাশা বাড়তে বাধ্য। এমন ভোটের সময় যে কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এটা শুভ লক্ষণ না।''


NIA সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরু-বিস্ফোরণের ১১ দিন পর বাংলায় ঢোকে ২ জঙ্গি। ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরে বেড়ায় তারা। ধর্মতলা লেনিন সরণী থেকে খিদিরপুর।সন্দেহভাজন জঙ্গিরা যে হোটেলগুলিতে লুকিয়ে ছিল, একের পর এক তার হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, কখনও রেজিস্টারে ভুয়ো নাম লিখে, কখনও নকল পরিচয় পত্র দেখিয়ে কলকাতায় ঘাঁটি গেরেছিল সন্দেহভাজন ২ জঙ্গি। কিন্তু, কেউ কিছুই জানতে পারেনি কেন? কোথায় নজরদারি? এবিষয়ে কর্নেল পৃথ্বীরঞ্জন দাস (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, "হোটেলের যে রেজিস্ট্রার থাকে তা তো চেক করে স্থানীয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা গোয়েন্দা বিভাগ যে ক'জন ভিজ়িটর এসেছেন। তাদের আধার কার্ড কনফার্ম করো। সেটা আদৌ করে কিনা জানি না।''


সূত্রের খবর, ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আধার কার্ড বানিয়ে বাংলায় ঘুরেছে সন্দেহভাজন ২ জঙ্গি। বিঘ্নেশ ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল আবদুল। অন্য়দিকে মহম্মদ জুনের শাজিব নামে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল মুসাভির। ধৃত ২ জনেরই খবর দিলে ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কারমূল্য় ঘোষণা করা হয়েছিল।শেষ অবধি তারা গ্রেফতার হল নিউ দিঘা থেকে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'কীসের ভয়, চাকরি যাবে?...এখনই দিল্লি চলে যান না!' পুলিশকেই নিশানা পুলিশমন্ত্রীর