কলকাতা: ঠিক সাত দিন বাদে শুরু হচ্ছে লোকসভা ভোট (West Bengal Lok Sabha Election 2024)।  রাজ্যের ৪২টি আসনে কার পাল্লা ভারী? আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করল এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা (ABP Cvoter Opinion Poll 2024 Part 2) । আজ দ্বিতীয় পর্ব।


কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের এই কেন্দ্রের মানুষ গত নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে মতদান করেছিলেন। এবার কী হবে? তৃণমূলের হয়ে এবার এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়া, বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। বামেদের প্রার্থী নীতীশচন্দ্র রায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখানে আলাদা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের হয়ে লড়ছেন পিয়া রায়চৌধুরী। এবিপি সি ভোটার সমীক্ষায় ইঙ্গিত, এবার এখানে জোর টক্করের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ শতাংশ ভোট স্যুইং হলেই ফলাফল বদলে যেতে পারে। তবে না হলে নিশীথ প্রামাণিকের পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন সমীক্ষকরা।


বারাসত: ১ জুন, সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ হবে এই কেন্দ্রে। এখানে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিজেপির হয়ে লড়ছেন স্বপন মজুমদার। জোটের প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। এখানে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে এবিপি সি ভোটার। মাত্র  ১ শতাংশ ভোট স্যুইং হলেই ফলাফল বদলে যেতে পারে। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে পারেন কাকলি, ইঙ্গিত সমীক্ষায়।


বিষ্ণুপুর: এখানে মুখোমুখি প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী। সুজাতা মন্ডল যেখানে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন, সেখানে সৌমিত্র খাঁ গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। প্রচারের একে অন্যের বিরুদ্ধে গরমাগরম কথাও বলেছেন। জোটের হয়ে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন শীতল কৈবর্ত।  এবিপি সি ভোটার সমীক্ষার ইঙ্গিত, এই কেন্দ্রেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। মাত্র ১ শতাংশ ভোট এদিক-ওদিক হলে বদলে যেতে পারে ফলাফল। তবে তা না হলে জেতার সম্ভাবনা বেশি সৌমিত্র খাঁ, মনে করেন সমীক্ষকরা। 


আরামবাগ: অপরূপা পোদ্দারকে এবার এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। পরিবর্তে দাঁড় করানো হয়েছে মিতালি বাগকে। অন্য দিকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন অরূপকান্ত দিগার, জোটপ্রার্থী  বিপ্লবকুমার মৈত্র। এখানে সম্ভাব্য জয়ী মনে করা হচ্ছে অরূপকান্ত দিগারকে।


বীরভূম: এবার অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমের লড়াইয়ে নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় আগেই সাংসদ হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন। উল্টো দিকে, বিজেপির হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে হঠাৎ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে একাধিক অভিযোগও ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। বীরভূম কেন্দ্রে জোট প্রার্থীর নাম মিল্টন রশিদ।  এই কেন্দ্রেও জোর টক্করের সম্ভাবনা থাকছে। ৩ শতাংশ ভোট স্যুইং হলেই ফলাফল বদলে যেতে পারে।  তবে তা না হলে সম্ভাব্য জয়ী হতে পারেন শতাব্দী রায়।


সমীক্ষা সম্পর্কে দু-কথা...
৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল, অর্থাৎ গত ৩ মাস এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৫৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। তবে এই সমীক্ষা কোনওভাবেই রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। ভোটের ফল কী হতে চলেছে, তার পূর্বাভাসও নয়। বরং ভোটারদের মন বোঝার একটা চেষ্টা মাত্র। অতীতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভোট-সমীক্ষার আভাস বাস্তবের কাছাকাছি পৌঁছেছে।আবার বহুবার এমনও হয়েছে, যে সমীক্ষার ইঙ্গিত পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সি ভোটারের এবারের সমীক্ষাতেও একাধিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।সেজন্য একে ধ্রবসত্য মনে করে আনন্দিত হওয়ার, বা দুঃখিত হওয়ার-- কোনওটাই কোনও কারণ নেই। আরও একটি বিষয়। সি ভোটারের এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে আপনাদের সমীক্ষা দেখিয়ে আসছি। তবে গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। তাই চূড়ান্ত ফলাফল জানতে ৪ জুনের অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায়ই নেই।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন:নবাবের জেলা থেকে ইতিহাসের শহর, কোন কেন্দ্রে সম্ভাব্য জয় কার? কী বলছে সি ভোটার?