কলকাতা: এজেন্সির চোখে ধুলো দিতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা (Bangalore Incident) শুধু একের পর ঠিকানাই বদলায়নি। বারবার বদলেছে সিমকার্ডও। একাধিক জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে কেনা হয়েছিল গুচ্ছ গুচ্ছ সিমকার্ড। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে NIA সূত্রে। এখানে যে প্রশ্নটা জোরালো হচ্ছে, কীভাবে এত সহজলভ্য হল সিম কার্ড?


বারবার সিমকার্ড বদল: এক মাসের বেশি সময়, বাংলায় গা ঢাকা দিয়ে বসে ছিল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ২ জঙ্গি। এজেন্সির চোখে ধুলো দিতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা শুধু একের পর ঠিকানাই বদলায়নি। মুড়িমুড়কির মতো বদলেছে সিমকার্ডও। এখনও অবধি তদন্তে উঠে এসেছে ৩৫টিরও বেশি সিমকার্ড ব্যবহার করেছিল ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি। একাধিক জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে কেনা হয়েছিল গুচ্ছ গুচ্ছ সিমকার্ড। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে NIA সূত্রে।

NIA সূত্রে খবর, ৩৫টি সিম কার্ড, ৩ ল্যাপটপ, কিছু মোবাইল,VPN মেশিন,রাউটারের পাশাপাশি নোটবুক, ডায়েরি ও লিফলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে তাদের কোথায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, সেই সম্পর্কে সেখানে তথ্য ছিল। তবে, অজস্র সিম কার্ড ও একাধিক মোবাইল ব্যাবহার করেও হয়নি শেষ রক্ষা। সেই মোবাইলই ধরিয়ে দিয়েছে সন্দেহভাজন ২ জঙ্গিকে। তবে এখানে যে প্রশ্নটা জোরাল হচ্ছে, তা হল কীভাবে এত সহজলভ্য সিম কার্ড? এপ্রসঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, তা আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের পক্ষেও ভয়ের। এবিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “মানুষকে সচেতন হতে হবে। ওরা তো নিজের নামে কেনে না। আপনি যখন কিনতে গেলেন, আপনার তথ্য দোকানদারের কাছে থেকে গেল। আপনার ডকুমেন্ট দিয়ে ৫টা সিম কেনা যায়। সেই বাকি সিমই বিভিন্ন হাত ঘুরে বড় ক্রিমিনালের কাছে চলে যায়। ভারত সরকারের অ্যাপ্লিকেশন আছে যেখানে দেখা যায় আপনার নামে কটা সিম আছে।’’

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ১২ মার্চ চাঁদনি চক মার্কেটে মোবাইল ফোন সারাতে যায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি। চাঁদনির ওই দোকান মালিকের দাবি, ১টি মোবাইল ফোন সারাতে দেওয়া হয়। তাতে কোনও সিম ছিল না।পরদিনই তারা দোকান থেকে ফোন নিয়ে যায়। দোকান মালিকের দাবি, নিজের সিম ঢুকিয়ে তিনি সিমহীন মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেছিলেন। এর কিছুদিন পরেই তাঁর দোকানে হাজির হয় NIA। দোকান মালিক-সহ ২ জনের বয়ান রেকর্ড করে এজেন্সি। ছবি দেখানোয় অন্য়তম অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন শাজিবকে শনাক্ত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন চাঁদনি চকের ওই দোকান মালিক। NIA সূত্রে দাবি, ১ মার্চ রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তরা ১০টিরও বেশি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে।


৪ রাজ্যে গা ঢাকা দিতে ব্যবহার করা হয় একাধিক জাল আধার কার্ড। ভুয়ো পরিচয়পত্রের সংখ্যাটা ঠিক কত, সেগুলি কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। NIA সূত্রে খবর, জঙ্গিদের আধার কার্ডে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের ঠিকানা মিলেছে।তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, জাল আধার কার্ডগুলি কর্ণাটকেই বানানো হয়েছিল।শনিবার ধৃতদের ব্যাঙ্গালোরের কোরামঙ্গলায় আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Dumdum Fire: ভয়াবহ আগুনে গৃহহীন দমদমের ঝুপড়িবাসীরা, পুনর্বাসনের আশ্বাস দমকলমন্ত্রীর