মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট: বিজেপির (BJP) ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধ সফল করতে রাস্তায় কর্মী সমর্থকরা। সোমবার সকাল সকাল বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পিকেটিং বনধ সফলের জন্য। চ্যাংদোলা করে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।


বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি,  ব্যাপক ধরপাকড়। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে, বিজেপির ডাকা বনধকে ঘিরে সোমবার এভাবেই উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। যে লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধের ডাক দেয়  বিজেপি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রাজ্য সরকারও। সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই সকাল থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন বনধের জেরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা। দিকে দিকে পিকেটিং করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। 


এদিন প্রথমে বালুরঘাটে সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে নেতৃত্ব দেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু। অনুরোধে কাজ না হওয়ায়, চ্যাংদোলা করে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। সেইসময় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের তলায় ঢুকে পড়েছিলেন এক বিজেপি কর্মী। সেখান থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনে পুলিশ। বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভের পর, বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড়ে ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে গেরুয়া শিবির। সামিল হন সুকান্ত মজুমদার।


সেখানে পুলিশে সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে পুলিশ অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার পর, জেলাশাসকের দফতরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপির ডাকা বন‍্‍ধে মিশ্র সাড়া মিলেছে বালুরঘাটে। সকালে বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও, বেলার দিকে খুলতে শুরু করে সেগুলি। রাস্তায় বাড়তে থাকে গাড়ির সংখ্যাও।


আরও পড়ুন: Bangla Bandh : শিলিগুড়িতে থানার মধ্যে বসেই ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গাইতে শুরু করে দিলেন বিজেপি বিধায়ক