কলকাতা : একে হিন্দু, তার উপর আওয়ামি লিগ সমর্থক। এর থেকে বড় 'অপরাধ' আর কীই বা হতে পারে এখনকার বাংলাদেশে ? একের পর এক হিন্দু নিপীড়নের অভিযোগের মাঝেই ভয়াবহ এক ঘটনা এল সামনে। ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের রিপোস্ট করা একটি ভিডিওয় উঠে এসেছে এই ঘটনা। ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করে @ATeam_1971 নামে একটি গ্রুপ। সেখানে দেখা গিয়েছে আওয়োমি লিগের সমর্থক মণি কর্মকারকে। নিজেই জানিয়েছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। আওয়ামী লিগের হয়ে রাজনীতি করেন। তাঁর প্রশ্ন, একজন হিন্দু ও আওয়ামী লিগের সঙ্গে জড়িত থাকাই কি আমার অপরাধ?
ওই সোশাল মিডিয়া গ্রুপের তরফে পোস্টে লেখা হয়েছে, 'রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণে মণি কর্মকারের পরিবারের ওপর এই আক্রমণ। মানবাধিকার এবং আইনের শাসন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাঁর শিশু এবং প্রিয়জনদের ওপর এই অত্যাচার আসলে গণতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থার ওপরেই আক্রমণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি।'
@ATeam_1971 নামে ওই গ্রুপের পোস্টে আওয়ামী লিগের নেত্রী বলেছেন, 'একজন হিন্দু ও আওয়ামী লিগের সঙ্গে জড়িত থাকাই কি আমার অপরাধ? এটা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী। কিন্তু আমার সন্তানদের কী অপরাধ? তারা স্কুলে পড়ে। আমার মা-বোনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। আমার মায়ের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে। আমার বোনের গলা কেটে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।'
৫ অগাস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার নেন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিদিন। বুধবার আওয়ামি লিগের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, শুধুমাত্র দেওয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লেখায় চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় আওয়ামি ছাত্র লীগের ২ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে !
এর আগে হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণের প্রতিবাদ করায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুশলবরণ চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালিয়েছে কট্টরপন্থীরা। তালিকাটা আরও কতটা লম্বা হবে ? আদৌ কি ইউনূস আমলে এই হিংসালীলা থামবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।